Advertisment

মুক্ত হয়েই কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর দাবি ওমরের

সাত মাস পর আজই বন্দি দশা ঘুচলো জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বন্দিদশা ঘুচলো অমর আবদুল্লার। সাত মাস পর  মুক্ত হলেন তিনি। এদিন কেন্দ্রের কাছে উপত্যকার বাকি বন্দি নেতাদের মুক্তিরও দাবি জানিয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, ইন্টারনেট পরিষেবা পুনপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ওমর।

Advertisment

মঙ্গলবার সকালেই ওমর আবদুল্লাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী গত আগস্ট থেকেই বন্দি ছিলেন। জননিরাপত্তা আইনে বন্দি ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা। ওমরের জনপ্রিতা বিবেচনা করে গতমাসেই জননিরাপত্তা আইনেই ফের তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

ওমরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহান অভিযোগ তুলে ধরে তাঁকে বন্দি করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ওমরের বোন। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওমরকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া না-হলে তাঁর বোনের আবেদনের শুনানি করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাকে এতদিন ধরে হেফাজতে রাখার প্রশ্নে এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ওমর আবদুল্লার মুক্তির নির্দেশ জারি করল সরকার।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল উপত্যার ৩৭০ ধারা বিলোপের সময়। সাত মাস পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বন্দিদশা কাটিয়েই কাশ্মীরের উন্নয়ন ও উপত্যকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

উল্লখ্য, ফারুক-ওমর আবদুল্লার সঙ্গেই একই অভিযোগে গত সাতমাস ধরে বন্দি রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের আরেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি।

চলতি মার্চেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা সহ বিরোধী বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের তরফে যৌথভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বন্দি দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা  ও মেহেবু মুফতির মুক্তির দাবি জানানো হয়েছিল।

Read in English

jammu and kashmir
Advertisment