প্রজাতন্ত্র দিবসেই দিল্লির একাধিক জায়গায় পুলিশ-কৃষক খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিল সরকার। জানা গিয়েছে, দিল্লির যে অংশে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেই সব অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশ অনুসারে, সাময়িকভাবে সিঙ্ঘু, গাজীপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলই ও সংগগ্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এদিন রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সেখানে উল্লেখ, নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই ইন্টারনেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লি মেট্রোর বেশ কয়েকটি স্টেশনও। আইটিও মোড়ে প্রাথমিক ঝামেলা হয়, সেই সময়ই একাধিক মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
টেলিকম মন্ত্রকের এক মুখপাত্রের মতে, ইন্টারনেট শাটডাউন অর্ডার আইন শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আহ্বান করা হয়েছে, মন্ত্রক দ্বারা নয়। কৃষকরা যেসব এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেখানকার বাসিন্দদের দাবি, এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে তাঁরা এসএমএস পেয়েছেন। জানানো হয়েছে, ফের সরকারি নির্দেশ এলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ধুন্ধুমার। কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে রক্তাক্ত রাজধানীর রাজপথ। নিহত হয়েছেন এক কৃষক। মঙ্গলবার ট্র্যাক্টর র্যালির আগে দিল্লির সিংঘু সীমানায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ। সেন্ট্রাল দিল্লির আইটিও-তে পুলিশের বাস ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিন প্রতিবাদের সুর চড়ান কৃষকরা। পুলিশি বাধা পেরিয়ে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। লালকেল্লার মাথায় পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন