কোভিডের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের তরফে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ১০-১১ এপ্রিল যৌথভাবে মকড্রিল পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের কোভিড টেস্টিং এর পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিং এর দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং ICMR-এর ডিরেক্টর রাজীব বল যৌথভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে জারি করা একটি নির্দেশে একথা জানিয়েছে। দেশে সক্রিয় কোভিড ১৯ কেসগুলির বেশিরভাগই কেরালা (২৬%), মহারাষ্ট্রের (22%), মতো কয়েকটি রাজ্য থেকে রিপোর্ট করা হচ্ছে। গুজরাট (১৪%), কর্ণাটক (৯%) এবং তামিলনাড়ু (৬%)।
নির্দেশ অনুসারে জানা গিয়েছে মক ড্রিলের সময় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মজুত ওষুধ, শয্যা, আইসিইউ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, অক্সিজেন পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতির হার সবকিছুই খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, গতকাল দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এক দিনে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৫৯০। যা ১৪৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ, যেখানে অ্যাকটিভ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,৬০১। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
একই সঙ্গে বেশ কয়েকদিন পর কলকাতায় ফের কোভিডের জেরে মৃত্যু হল একজনের। বেলেঘাটা আইডিতে এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয় শনিবার। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও ছিল সেই রোগীর এমনটাই জানা গিয়েছে হাসপাতালের তরফে।