ঋতিকা চোপড়া: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং দুই নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অনুপ চন্দ্র পাণ্ডেকে বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কর্তারা। যা নিয়ে বিতর্ক বাধে। গত ১৫ নভেম্বর একটি চিঠি গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। জানা যায়, চিঠিতে উল্লেখ ছিল, ‘নির্বাচনী সংস্কার ইস্যুতে ১৬ নভেম্বর বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সেই বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।’ নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানকে কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক ডেকে পাঠাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ১৭ ডিসেম্বর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপরই পাঁচ রাজ্যের ভোটে কমিশনের নিপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয় বিরোধী শিবির। সমাজের নানা মহল থেকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ইস্যুতে শনিবার বিবৃতি দিয়ে কমিশনের দফতরে দেওয়া চিঠির ব্যাখ্যা দিয়েছে আইনমন্ত্রক। ওই ব্যাখ্য়ায় বলা হয়েছে যে, 'আলোচনার বিষয়ে ধারণাপোষণকারী কমিশনের সচিব বা কোনও প্রতিনিধিকে অনলাইন বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল।' জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে পিএমও-র আলোচনা হয়।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল যে, পিএমও-র ওই চিঠি নিয়ে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র 'অসন্তোষ' প্রকাশ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬ নভেম্বর যোগ দিয়েছিলেন অনলাইন বৈঠকে।
আইনমন্ত্রকের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, দীর্ঘদিনে নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে ক্যাবিনেটের মত কমিশনকে জানাতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে পরবর্তী কথোপকথনটি ছিল একটি অ-আনুষ্ঠানিক এবং চূড়ান্ত প্রস্তাবের জন্য দু-তিন বিষয়ের দিক নির্দেশ।'
মন্ত্রকের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ১২ নভেম্বর ক্যাবিনেট সচিব, আইনমন্ত্রকের সচিব ও বিধানসভা সংক্রান্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, মুখ্য কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়নি। আইনমন্ত্রকের দাবি, নির্বাচন পরিচালনা ও ভোটার লিস্ট সংক্রান্ত ধারণাসম্পন্ন কোনও আধিকারিককে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়ে কমিশনকে বলা হয়েছিল। কমিশনকে দেওয়া চিঠির শেষ পর্বে তার উল্লেখ আছে বলে দাবি মন্ত্রকের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন