অন্যান্য চাকরির মত অগ্নিপথ প্রকল্পেও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং, অগ্নিপথ প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই ফর্মের একটা কলাম জাতির উল্লেখের জন্য ছাড়া আছে। সেই অভিযোগের জবাবেই অগ্নিপথ প্রকল্পেও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকার কথা জানাল সরকার।
সংসদে লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, 'অগ্নিপথ প্রকল্পেও ১৫ শতাংশ পদ তপশিলি জাতির জন্য ছাড়া আছে। তপশিলি উপজাতির জন্য রয়েছে সাড়ে সাত শতাংশ পদ। এছাড়াও ২৭ শতাংশ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে।'
অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রথম ব্যাচের জন্য রাইফেলম্যান এবং কনস্টেবল পদে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথাও ভেবে রেখেছে সরকার। এর মধ্যে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ নির্দিষ্ট জাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এছাড়া সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ থাকে মহিলা, ট্রান্সজেন্ডার, প্রতিবন্ধীদের জন্যও। এক্ষেত্রে অবশ্য যে কোনও জাতির প্রার্থীরাই আবেদন জানাতে পারেন।
আরও পড়ুন- পসমন্দা মুসলিমরা ‘স্নেহ’ নয় ‘সম্মান’ চান, মোদীকে খোলাচিঠি প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদের
সঞ্জয় সিংয়ের অবশ্য অভিযোগ ছিল, স্বাধীনতার পর এই প্রথম সেনার চাকরিতে আবেদনের জন্য জাতির কলাম পূরণ করতে হবে। কিন্তু, আম আদমি পার্টির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সেনায় নিয়োগের চলতি প্রক্রিয়া মেনেই হবে। তাতে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে।
এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ চার বছরের চুক্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। তবে, নিযুক্তরা কেউ সরকারি চাকরিজীবীদের মত পেনশনের সুবিধা পাবেন না। সরকার অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তির মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। প্রকল্পটি ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে। এমনকী, প্রকল্পটি প্রত্যাহারের দাবিও জানান বিরোধীরা। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দেয় সরকার।
Read full story in English