Advertisment

সাংবাদিক উপেন্দ্র রাই-এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতারির অনুমতি পেল সিবিআই

সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে জেলে গিয়েও জামিন পেয়ে যান সাংবাদিক রাই। এর পর 'আর্থিক তছরুপ রোধ আইন'-এর আওতায় গত ৮ই জুন তাঁকে ফের গ্রেফতার করে ইডি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সাংবাদিক উপেন্দ্র রাই

কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে 'অফিসিয়াল সিক্রেট আইন' এর আওতায় সাংবাদিক উপেন্দ্র রাইকে আটক করার অনুমতি দেওয়া হল সিবিআইকে।ইতিমধ্যে বুধবার তোলাবাজি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগে উপেন্দ্র রাই-এর ২৬.৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

Advertisment

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল উপেন্দ্র রাই-এর ফোনে কল রেকর্ড মারফত বেশ কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে রাই-এর যোগ সংক্রান্ত তথ্য এবং ১৪০টি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের হিসেব পেয়েছে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাঙ্ক ডিপোজিট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগও রয়েছে।

এর আগে ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত এক মামলায় উপেন্দ্র রাই ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর আবেদন চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। সে আবেদন মঞ্জুর করেনি শীর্ষ আদালত। সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে জেলে গিয়েও জামিন পেয়ে যান সাংবাদিক রাই। এর পর 'আর্থিক তছরুপ রোধ আইন'-এর আওতায় গত ৮ই জুন তাঁকে ফের গ্রেফতার করে ইডি।

সিবিআই-এর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে ইডি উপেন্দ্র রাই-এর বিরুদ্ধে একটি আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "বিশাল অঙ্কের টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিক উপেন্দ্র রাই-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি এবং কর্পোরেট সংস্থা থেকে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার। নানা সংস্থাকে নগদ টাকা দিয়ে উপেন্দ্র রাই তাদের বলতেন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সেই টাকা তাকে ফেরত দিতে। পুরো পদ্ধতিটাকে আইনি সাজাতে তিনি সে সব সংস্থাকে তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য জোর করতেন। স্ত্রী, ভাই বোন এবং আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়মিত তিনিই অপারেট করতেন"।

Black money journalist cbi
Advertisment