দিওয়ালি পরবর্তী দিল্লির বাতাস ক্রমশই দূষিত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই নিয়েই রবিবার দিল্লির সরকারকে বিশেষ নিদান দিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুনীল বড়ালা। শুধু তাই নয়, সুনীল বড়ালার দাবি, "খড় পোড়ানো একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। সরকারের বরং উচিত যজ্ঞ করে ভগবান ইন্দ্রদেবকে ডাকা।" উল্লেখ্য, শুক্রবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজধানীর দূষণের জন্য আঙুল তুলেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের দিকে। কেজরিওয়ালের অভিযোগ ছিল, ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দিতে কৃষকদের বাধ্য করে ওই দুই রাজ্যের প্রশাসন। আর সেই ফসল পোড়ানো নিয়েই ফের শুরু তরজা।
#WATCH Uttar Pradesh minister Sunil Bharala: Farmers have always practiced stubble burning, it's a natural system. Repeated criticism of it is unfortunate. Govts should hold 'Yagya' to please Lord Indra (God of rain), as done traditionally. He (Lord Indra) will set things right. pic.twitter.com/EcImGAbVrl
— ANI UP (@ANINewsUP) November 3, 2019
আরও পড়ুন- এনআরসি আজকের নথি নয়, ভবিষ্যতের ভিত্তি: রঞ্জন গগৈ
দিল্লির দূষণ একান্ত 'দিল্লির নিজস্ব', এই মর্মেই কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুনীল বড়ালা। যোগীরাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, "কৃষকরা এই খড় পোড়ানোর কাজটি স্বাভাবিকভাবেই করে থাকেন। তা নিয়ে বারংবার সমালোচনা করা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের উচিত যজ্ঞ করে ভগবান ইন্দ্রকে তুষ্ট করা। তিনিই সব ঠিক করে দেবেন।" এদিকে, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সূচক ৫০০-র ওপরে উঠে গেলেই স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা বলে মনে করা হয়। সেখানে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৬২৫।
আরও পড়ুন- অদূর ভবিষ্যতে ফের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের চেষ্টা হবে: ইসরো প্রধান
দূষণের তীব্রতা এতটাই, যে পথ পরিবর্তন করানো হচ্ছে বিমানেরও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩২ টি বিমান দিল্লি থেকে জয়পুর, অমৃতসর এবং লখনউয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১২টি বিমানের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগামী ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, বেআইনি দহন যদি দূষণের অন্যতম কারণ হয়, তবে 'দিল্লির নিজস্ব বিশাল শিল্পক্ষেত্রের দূষণ, ব্যাপক যানবাহনের চাপ ও নির্মাণকাজ- সবটাই তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে।' তিনি আরও লেখেন, 'এ দেশের কেউ, বিশেষত পাঞ্জাবের কেউ, রাজধানীতে আমাদের ভাইবোনেরা যে কষ্টের মধ্যে রয়েছেন সে ব্যাপারে উদাসীন নন। কঠোর সত্যিটা হল, আমরা স্রেফ একে অপরের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত।'
Read the full story in English