কোনও প্রকল্প চালু করলে তার আর্থিক প্রভাবের কথা সরকারের মাথায় রাখা উচিত। বুধবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষার অধিকার আইনের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোথায় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কোথায় সেই স্কুল, সেটাও মাথায় রাখা উচিত সরকারের। শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত মহিলাদের কার্যকরী আইনি সহায়তা প্রদান এবং ওই মহিলাদের আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো চেয়ে আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সেই সময়ই পর্যবেক্ষণে প্রকল্পের প্রভাবের প্রসঙ্গ টানেন বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
বিচারপতি এসআর ভাট ও বিচারপতি পিএস নরসিমহাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের পরামর্শ, যখনই সরকার এই ধরনের কোনও প্রকল্প হাতে নেবে, তার আর্থিক প্রভাবের কথা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) ঐশ্বর্য ভাটি, কেন্দ্রের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে বিচারপতিরা জানান, এই ব্যাপারে সবচেয়ে উত্কৃষ্ট উদাহরণ হল শিক্ষার অধিকার আইন। আদালত বলে, ‘আপনারা একটি অধিকার তৈরি করেছেন। কিন্তু স্কুলগুলো কোথায়? সুতরাং, রাজ্য সরকার, পৌরসভা-সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে আগে স্কুল তৈরি করতে হবে। কিন্তু, তারা শিক্ষক কোথা থেকে পাবে?’
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষামিত্র আছেন। তাঁদের দৈনিক চুক্তিতে কাজ করতে হয়। মাসের শেষ পাঁচ হাজার টাকা পান শিক্ষামিত্ররা। সেই শিক্ষামিত্রদের যখন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পরামর্শ আদালত রাজ্যগুলোকে দিয়েছিল, তখন হাত তুলে নেয় সরকার। দোহাই দিয়েছিল, এতে বাজেটের খরচা অনেক বেড়ে যাবে। আর, এরই প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি কোনও কিছু চালু করতে হয়, তবে তা সামগ্রিক বিষয়গুলো দেখেই চালু করতে হবে। না-হলে, তা স্রেফ কথার কথাই থেকে যাবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় পরিকল্পনার কথা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। বুধবার এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, সরকার ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে। এই চিঠিতে, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে যাবতীয় পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে আদালতকে জানাতে সময় চাওয়া হয়েছে।
Read story in English