কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল থেকে গঙ্গা পরিষ্কার করার জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে, যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পর রয়েছে বিহার। যেখানে খরচ হয়েছে ৩৫১৬.৬৩ কোটি টাকা।
পশ্চিমবঙ্গ-এ এই খাতে খরচ করা হয়েছে ১৩২০.৩৯ কোটি টাকা। এছাড়াও, দিল্লিতে ১২৫৩.৮৬ কোটি টাকা এবং উত্তরাখণ্ডে ১১১৭.৩৪ কোটি টাক। নমামি গঙ্গে কর্মসূচির অধীনে তহবিল পাওয়া অন্যান্য রাজ্যগুলি হল ঝাড়খণ্ড (২৫০ কোটি টাকা), হরিয়ানা (৮৯.৬১ কোটি টাকা), রাজস্থান (৭১.২৫ কোটি টাকা), হিমাচল প্রদেশ (৩.৭৫ কোটি টাকা) এবং মধ্যপ্রদেশ (৯.৮৯ কোটি টাকা) খরচ করা হয়েছে।
নমামি গঙ্গে প্রকল্প বিশ্বের সেরা ১০টি প্রকল্পের মধ্যে স্থান পেয়েছে। গঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪-১৫ সালে ৩১ মার্চ, থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প চালু করে। পরবর্তীতে এটি আরও ৫ বছরের জন্য ৩১ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ান হয়।
তিন বছর পর কাউন্সিলের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, উত্তরাখণ্ডের মুখ্য পুষ্কর সিং ধামি, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মোদী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের জলশক্তিকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টির বেশি নিকাশি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। শুরু হচ্ছে ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি নতুন প্রকল্প।’’ আদিগঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন করে তোলার জন্য পরিকাঠামো বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন ‘‘দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি জলপথকে সংস্কার করা হচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি কাশী থেকে বাংলাদেশ হয়ে ডিব্রুগড় পর্যন্ত ৩,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি জলপথ পরিবহণ শুরু হবে। যা দেশের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করবে”।