উপজাতি-বনবাসীদের জন্য লকডাউন শিথিল করতে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ

রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে কথা বলে বনজ উৎপাদনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে কথা বলে বনজ উৎপাদনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mha lockdown guidelines, লকডাউন, লকডাউনের গাইডলাউন, লকডাউন ছাড়, forest tribals lockdown guidelines, india lockdown, coronavirus india lockdown, coronavirus covid 19, india news, indian express bangla

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলা দ্বিতীয় দফার লকডাউনে উপজাতি এলাকার বাসিন্দা ও বনবাসীদের কথা মাথায় রেখে বনজ উৎপাদনে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে কথা বলে বনজ উৎপাদনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, তপশিলি জাতি ও অন্য়ান্য বনবাসীদের কথা মাথায় রেখে বনজ উৎপাদনে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisment

ছত্তীসগড়, মধ্য়প্রদেশ, বিহারের কিছু উপজাতি এলাকায় অনাহারের খবর পেয়েছে উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক। এরপরই এই কঠিন সময়ে উপজাতি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য় লকডাউনে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ''কাঠ ছাড়া অন্য়ান্য় বনজ উৎপাদন (এনটিএফপি) উপজাতি এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনীতির প্রধান অবলম্বন। মার্চ-মে মাসই এনটিএফপি-র মরশুম। এই সময় কাঠ ছাড়া অন্য়ান্য় বনজ উৎপাদন করে তা বিক্রি করে যা রোজগার করেন তাঁরা, বছরের বাকি সময়টা তা দিয়েই কাটান। বছরে উপজাতির বনজ উৎপাদনে (এনটিএফপি +ফার্ম) টাকার অঙ্ক প্রায় ২ কোটি টাকা। যদি উপজাতি এলাকার বাসিন্দারা এই পরিমাণ টাকা বাজার থেকে তুলতে না পারেন, তাহলে সারা বছর তাঁদের আর্থিক বোঝা বাড়বে''।

আরও পড়ুন: লকডাউনে এবার বনজ উৎপাদন ও ব্য়াঙ্কিং ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা

Advertisment

এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্য়প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ-সহ ১৫ রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। চিঠিতে রাজ্য়গুলিকে গৌণ বনজ উৎপাদনের (এমএফপি) পরিমাণ সুনিশ্চিত করার আর্জি জানান মুন্ডা। এদিকে, এমএফপি-র ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য় ১৬-৩০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। এলাচ, হলুদ, আদা, বন তুলসী, বন জিরা-সহ ২০টি জিনিসের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণার পর দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল যে, উপজাতি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য় একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রেণুকা সিং জানিয়েছেন, ''বনজ উৎপাদন সংগ্রহ করতে ও তা বাজারে বিক্রি করতে রাজ্য়গুলিকে আমরা ছাড়পত্র দেব। তবে সবটাই করা হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে''।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news