বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা চিনের করোনা ভাইরাসের থাবা বসেছে ভারতেও। ইতিমধ্যেই কলকাতা, দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন আক্রান্তরা। এদিকে চিনে ক্রমেই মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতে করোনা থাবা রুখতে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ৫৩টি জীবনদায়ী ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যের সংখ্যা সার্সকে ছাপিয়ে গেল
প্রসঙ্গত, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এপিআই ব্যবহার করা হয়। যদিও এই এপিআই ব্যবহার করার জন্য ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের জন্য চিনের উপর নির্ভর করে ভারত। তবে এখন যে পরিস্থিতি সেখানে আগামী দু'মাসের জন্য ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একাধিক দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের, এমনটাই খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ৫৮টি জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে রয়েছে এইচআইভি/এইডস-এর ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা ওষুধ লোপিনাভির এবং রিটোনাভির গোত্রের ওষুধও।
আরও পড়ুন: কর্তারপুর যেতে পাসপোর্ট লাগবে না, পাক সিদ্ধান্তে হতবাক নয়াদিল্লি
চিনের হুবেই প্রদেশ থেকেই প্রথমবারের জন্য ছড়ায় এই করোনাভাইরাস। এদিকে এই প্রদেশ থেকেই তৈরি করা হয় এপিআই। কিন্তু করোনা ভাইরাস আক্রান্তের পরই 'বন্দি' করা হয়েছে হুবেই প্রদেশকে। চাহিদা বাড়লেও না সম্ভব হচ্ছে না ওষুধের উপাদান। মহারাষ্ট্রের এক ড্রাগ প্রস্তুতকারক বলেন, "আমরা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার থেকে নির্দেশ পেয়েছি যে কীভাবে স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের এপিআই-এর পরিমান সম্পর্কে অবগত করা। আমরা সেই চেষ্টাই করে চলেছি।" তবে প্রস্তুতকারকদের বক্তব্য, "আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার, আমদানি শুল্ক হ্রাস না করলে এপিআই আনা সম্ভব নয়"।
Read the full story in English