প্রতিবেশী দেশগুলির তরফে বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য সীমান্তের এলাকা ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত। চিনকে বেগ দিতে সামরিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisment
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে যে সব দেশ স্থলসীমান্ত দ্বারা যুক্ত রয়েছে, তারা বাণিজ্যের জন্য ভারতের সীমান্ত ব্যবহার করতে চাইলে নির্দিষ্ট মালিকানার সঙ্গে রেজিস্টার্ড থাকতে হবে। বলা হয়েছে, 'ডিপার্টমেন্ট অফ প্রোমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড দ্বারা নির্মিত বিশেষ রেজিস্ট্রেশন কমিটির কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে বিদেশের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে। সেখান থেকে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র মিললে তবেই বাণিজ্যিক কারণে এ দেশেরর সীমান্ত ব্যবহার করতে পারবে প্রতিবেশী দেশগুলি।'
নতুন নিয়ম চালু করার জন্য ২০১৭-র আর্থিক নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, যে দেশগুলিকে ভারত সাহায্য করে সেগুলিকে এই তালিকা থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে। সরকারি নির্দের ফলে সুফল পাবে ভারতের প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার। বলাই বাবুল্য় নতুন বাণিজ্য পদক্ষেপের নিশানায় চিন।
এছাড়ও জানানো হয়েছে যে, কোনও রকম বাণিজ্যেক লেনদেনের (বস্তনির্ভর হোক বা কোনও পরিষেবা)– ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানতে হবে। তবে, মেডিক্যাল পণ্য আনাগোনায় ক্ষেত্রেই এই নিয়মে ছাড় রয়েছে। করোনা মহামারীর আবহে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সরাসরি চিনা সংস্থার পথে বাধা তৈরি কূটনৈতিক কারণেই অসুবিধাজনক। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বিবাদ তৈরি হতে পারে। তাই ঘুর পথে চিনকে বেগ দিতেই এই কৌশল ভারতের। ১৫ জুন সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকেই এ দেশে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি জোরাল হয়। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ই-কমার্সে বিক্রয়জাত সামগ্রীর উৎস জানাতে বলা হয়েছে আগেই।