গত দু'বছরে ন্যায্য মূল্যের চেয়ে কম দামে রান্নার গ্যাস বিক্রিতে রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে দেবে কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, মোদী সরকার জ্বালানি বিক্রেতা তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ২২ হাজার কোটি টাকার এককালীন অনুদান দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার এক বৈঠকে তিনটি তেল বিপণনকারী সংস্থাকে এককালীন অনুদান অনুমোদন করেছে।
এই তিন সংস্থা হল– ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচপিসিএল)। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান মন্ত্রী। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এলপিজি বিক্রিতে গ্রাহকদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য ওই অর্থ দেওয়া হবে। তিনটি সংস্থাই সরকার-নির্ধারিত দামে গ্রাহকদের কাছে সিলিন্ডারভর্তি রান্নার গ্যাস বিক্রি করে।
২০২০ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে রান্নার গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু, সেই দাম বৃদ্ধির প্রভাব যাতে গ্রাহকদের ঘাড়ে চেপে না-বসে, সেজন্য রান্নার গ্যাসের দাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর দাবিমতো বাড়াতে দেয়নি কেন্দ্র। এই সময়ের মধ্যে রান্নার গ্যাসের দাম মাত্র ৭২ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে, তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিধি মেনে হয়েছিল নোটবন্দি, আদৌ কোনও ভিত্তি আছে? খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'এই ক্ষতি উপেক্ষা করেই তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা দেশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকার তাই তিনটি রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এককালীন অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই তিনটি রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাকে (ওএমসি) ২২ হাজার কোটি টাকার এককালীন অনুদান অনুমোদন করেছে। মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাকেগুলোকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে তাদের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে। গ্রাহকদের কাছে নিরবচ্ছিন্ন রান্নার গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, মেক ইন ইন্ডিয়া পণ্য উৎপাদনেও সহায়তা করবে।'
Read full story in English