scorecardresearch

বিচারক নিয়োগে অংশ নিতে চায় সরকার, জেনে নিন প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে কী বললেন আইনমন্ত্রী?

কলেজিয়াম বির্তকে ঘি…!

Supreme Court, Supreme Court Collegium, SC Collegium, Collegium row, Kiren Rijiju, D Y Chandrachud, appointment of judges, CJI, Jagdeep Dhankar, NJAC

বিচারক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরন রিজিজু প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিচারক নিয়োগের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। SC কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাইকোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতে।

চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের বিবৃতিও উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে তিনি কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, রিজিজু সম্প্রতি বারবার কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন, এটিকে “অস্বচ্ছ”, “সংবিধানের পরিপন্থী” বলে অভিহিত করেছেন।

এনজেএসি বাতিলের বিষয়ে, ভিপি ধানখর বলেছিলেন সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও আইনমন্ত্রী রিজিজুর বক্তব্যের সুর ধরেই বলেন, “এখনও জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার সময় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে আইন বাতিল করেছিল, তা সংবিধানের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে বড়সড় আপোস এবং সাধারণ মানুষের মতকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।”

সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সদস্যদের মিলিতভাবে সুপারিশ করা বিচারপতিদের নামের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। তারপর সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। যদি কেন্দ্রীয় সরকার কলেজিয়ামের মনোনীত বিচারপতির নামে সহমত না হন, তাহলে তারা সেই সুপারিশ ফেরত পাঠাতে পারে। তবে কলেজিয়াম যদি আবার সেই বিচারপতির নামই পুনরায় পাঠায়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে বাধ্য।

সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন-অভিযোগ রয়েছে বহু দিন আগে থেকেই। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিচারপতিরা কলেজিয়াম ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের সকলেরই দাবি, দীর্ঘদিনের পুরনো এই কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিদায় নেওয়া উচিত এবার। কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতেই ২০১৫ সালে মোদী সরকার বড় পদক্ষেপ নেয়। সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সংসদে ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়।

কলেজিয়াম নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ধারাবাহিকভাবে তিনি কলেজিয়াম পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, কলেজিয়ামের মাধ্যমে বিচারপতিদের যে নিয়োগ করা হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। জনগণের ভোটের দ্বারাই নির্বাচিত হন জনপ্রতিনিধিরা, সেই কারণে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না। এবার সরাসরি সিজিআইকে চিঠি লিখে তিনি এই বিষয়ে তাঁর মতামত জানান।

কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরন রিজিজু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে সরকারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন, কেন? আইনমন্ত্রীর মতে, কলেজিয়াম ব্যবস্থা ২৫ বছরের পুরনো। কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই তাঁর এই সুপারিশ। রিজিজু আরও বলেছেন যে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের হাইকোর্ট কলেজিয়ামের সিস্টেমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ ।

বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যে এই চিঠিটি সর্বশেষ সংযোজন। মাস খানেক আগেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিচারক নিয়োগের বর্তমান পদ্ধতিকে “অস্বচ্ছ” বলে উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি সম্প্রতি বলেছেন যে কলেজিয়াম সিস্টেম, যা একটি প্রশাসনিক কাজ “বিচারকদের অত্যন্ত ব্যস্ত রাখছে” এবং বিচারক হিসাবে তাদের দায়িত্বকে প্রভাবিত করছে।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Govt wants its representatives in collegium law minister writes to cji