২০ এপ্রিল থেকে সংক্রমণ মুক্ত এলাকায় লকডাউন শিথিল, রাজ্য বাছবে সংক্রমিত অঞ্চল
নির্দেশিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে গৃহবন্দি দেশে গরীব এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্তে এসেছে কেন্দ্র। এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের এই শ্রেণি।
নির্দেশিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে গৃহবন্দি দেশে গরীব এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্তে এসেছে কেন্দ্র। এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের এই শ্রেণি।
করোনাভাইরাসের দাপটে গৃহবন্দি দেশে এবার আংশিক শিথিল হতে চলেছে লকডাউনের নিয়ম। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ১০০ দিনের কাজ, সেচ ও জল সংরক্ষণ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য বিক্রি, পণ্য আদান-প্রদানে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত যেসমস্ত এলাকাগুলি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত রয়েছে, সেখানেই ছাড় দেওয়া হবে। তবে কোন জেলা সংক্রমণ মুক্ত আর কোন জেলা নয়, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসরকারকে।
Advertisment
তবে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে গৃহবন্দি দেশে গরীব এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্তে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের এই শ্রেণি। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পর রাজ্যের কাছেও পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার কোনও উপায় ছিল না। তবে বুধবারের এই নির্দেশিকার পর তা সম্ভব হবে বলেই আশাবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
গ্রামীণ অঞ্চলের প্রায় সমস্ত কাজে এবার ছাড় দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন নির্দেশিকায়। মনরেগা কাজ, এমএসএমই, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রাস্তা, ভবন, সেচ ও শিল্প প্রকল্পের নির্মাণ, ইটভাটা, চা, কফি উৎপাদন, পৌরসভার অন্তর্গত নির্মাণ কাজেও দেওয়া হয়েছে ছাড়।
Advertisment
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই কর্মস্থলগুলিতে ছাড় দেওয়া হলে গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে অর্থনীতির পিরামিডে সবচেয়ে নীচের তালিকায় অবস্থান করছেন যারা, তাঁদের সুরক্ষা দিতেই এই নির্দেশ। সেই কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছে ধাবা, মোটর কারখানার শ্রমিক, ইলেক্ট্রিশিয়ানদেরকে।
কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন , “এটি ফসল কাটার সময়। তাই কৃষকদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ইটভাটাতেও প্রচুর শ্রমিকেরা কাজ করেন, তাই সেই ইউনিটও চালু করতে বলা হয়েছে।"
এদিকে, দেশের ১৭০টি জেলা ছাড়াও আরও ২৭০টি জেলা আসতে পারে হটস্পটের তালিকায়, এমন সম্ভাবনার কথা জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ১৭০টি জেলাকে সরাসরি হটস্পট না বলে ১২৩টি জেলাকে “প্রধান সংক্রমণ স্থান” এবং ৪৭টি জেলাকে “হাইরিস্ক এলাকা” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই জেলাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, এই মুহূর্তে দেশের ১৭০টি জেলায় সংক্রমণের হার খুব বেশি বলে সেগুলিকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ২০৭টি জেলাগুলিতেও আগামী দিনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাই সেখানে সংক্রমণ রুখতে বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।