ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তান সীমান্তে ফ্রন্ট লাইন কমব্যাট ইউনিটের(ওয়েস্টার্ন সেক্টর) দায়িত্বে প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে উঠে এল, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শালিজা ধামির নাম। ২৮০০ ঘন্টারও বেশি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই মহিলা আধিকারিকের। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শালিজা ধামি প্রথম আইএএফ মহিলা অফিসার যিনি এমন গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। IAF ইতিহাসে এই প্রথম একজন মহিলা অফিসারকে ফ্রন্টলাইন কমব্যাট ইউনিটের কমান্ড দেওয়া হল।
শালিজা ধামি একজন ‘উইং কমান্ডার’ যিনি ভারতীয় বায়ুসেনার হয়ে ১৫ বছর ধরে দেশকে সেবা করে চলেছেন। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন তিনি। তার নামে অনেক রেকর্ড রয়েছে। শুধু তাই নয়, শালিজা ধামি হলেন ২০১৯ সালের আগস্টে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হওয়া ভারতের প্রথম মহিলা অফিসার হয়েছিলেন ধমি, এবং তিনি ডিসেম্বর ২০১৬-এ উইং কমান্ডার পদে উন্নীত হন।
শালিজা পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। সেখানে তার পড়াশোনা শেষ করেন। রয়েছে ৯ বছরের একটি ছেলেও।শালিজা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি পাইলট হতে চেয়েছিলাম। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তিতেই সেই স্বপ্ন পূরণ করেছি”। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, বিমান বাহিনীর অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শালিজা ধামির এই রেকর্ড দেশের মহিলাদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ।
শালিজা এখন বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টলাইন মিসাইল কমব্যাট ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে এমন দায়িত্ব পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম। এরপর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে বি.টেক শেষ করার পর বায়ুসেনায় যোগদান। বাবা-মা ছিলেন সরকারি আধিকারিক। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি।
তিনি ২০০৫ সালে ‘ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট’ এবং ২০০৯ সালে স্কোয়াড্রন লিডার হন। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম ফ্লাইট কমান্ডারও হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা ‘ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর’। নিঃসন্দেহে ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে থাকল শালিজার এই কৃতিত্ব।