/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/12/tao-of-travel.jpg)
৮.৫ তীব্রতার ভুমিকম্পে তোলপাড় হতে পারে হিমালয় পর্বতমালা।
যখন তখন ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে উত্তর ভারত। শেষ হয়ে যেতে পারে হিমালয় পর্বতমালার একাধিক অঞ্চল। এমনই সতর্কবার্তা দিলেন ভারতের ভূকম্পবিদরা। সেই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি সহমত এক দল মার্কিন বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন ধরে হিমালয়ের ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতের এই বিশেষজ্ঞের দল।
৮.৫ তীব্রতার ভূমিকম্পে তোলপাড় হতে পারে হিমালয় পর্বতমালা। এমনটাই দাবি করছেন বেঙ্গলুরুর জওহরলাল নেহরু সেন্টারের ভূতাত্ত্বিক সিপি রাজেন্দ্রন। এই গবেষণা কেন্দ্রেই দিনের পর দিন চলেছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। সেখান থেকেই দেওয়া হয়েছে এই পূর্বভাস।
দীর্ঘদিন ধরেই হিমালয়ের তলদেশে অবস্থিত প্লেটে চাপ বাড়ছে। প্লেটের দুটি অংশ একে অপরের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছে। যার ফলে যেকোনো মূহুর্তে ঘটতে যেতে পারে প্রাকৃতিক তান্ডব।
আরও পড়ুন: জীবনদায়ী অঙ্গ বয়ে নিয়ে যাবে ড্রোন
বিজ্ঞানীদের মতে, যত দিন যাচ্ছে, হিমালয় পাতগুলির মধ্যে সক্রিয়তা ততই বেড়ে চলেছে। বিগত সাড়ে চার বছর ধরে হিন্দুকুশ অঞ্চলে ছোট বড়ো একের পর এক ভূমিকম্প হয়েছে। যার ফলে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বারংবার ভূমিকম্প হওয়া মানে ভারতীয় পাত উত্তর-পূর্ব দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ঐ পাতের স্থান বদল ঘটার ফলে একটি পাত নিচের দিকে প্রবেশ করছে দিন দিন। যার ফলে আরও খানিক মাটির দিকে নেমে যাচ্ছে অন্য পাতটি। প্রতিনিয়ত যখন একটা পাত অন্য আরেক পাতের নিচে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে তখন ঘর্ষণের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই ঘর্ষনের থেকেই হয় তীব্র ভূমিকম্পের সৃষ্টি।
পশ্চিম নেপালের মোহনখোলা এবং ভারতের চোরগলিয়া, এই দুটি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চালানো হয়েছে গবেষণা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর Cartosat-1 স্যাটেলাইট থেকে প্রেরিত এবং গুগল আর্থের বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে এলাকার ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এরপরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ভূতত্ববিদদের এই দলটি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে মনমতো জায়গা না পেলেও আগ্নেয়গিরির স্পর্শ পেয়েছে ‘ইনসাইট’
২০১৫ সালে নেপালের হিমালয়ে ভূকম্পনের তীব্রতা ছিল ৮.১। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। হিমালয়ে শেষ বার ৮.৫ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৩১৫ থেকে ১৪৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। প্রায় ৬০০ কিমি বিস্তৃত এলাকার ভোলবদল ঘটেছিল সে সময়। তারপরে আর বড়ো ভূমিকম্প হয়নি।
তারপর থেকেই মাটির তলার চাপ বেড়েই চলেছে। ২০১৫ সলে নেপালের যে ভূমিকম্প পরপর দুবার হয়েছে, তার চেয়েও আরও বড়ো ভূমিকম্প সংগঠিত হতে পারে। ভূমিকম্পের কবলে পড়বে আলমোরা, রানীক্ষেত, উত্তর প্রদেশের আরও বেশ কিছু অংশ, এবং নেপালের বেশ খানিকটা এলাকা। ছোট বড়ো মাত্রায় কম্পন হলেও এত বড়ো কম্পন আগে হয়নি।