Advertisment

দেশের আট শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়নের হার গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ কমলো

এই আটটি শিল্প ক্ষেত্রেই চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃদ্ধির হার এপ্রিলে ৫.৮ থেকে কমে হয়েছে ৫.৮ শতাংশে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মন্দার ইঙ্গিত ভারতীয় অর্থনীতিতে। শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধি কমছে। কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টে প্রকাশ, জুলাই মাসে দেশের আটটি শিল্পক্ষেত্রের বৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ২.১ শতাংশে। গত বছর যা ছিল ৭.৩ শতাংশে। সরকারি তথ্যানুশারে, কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, রিফাইনারি দ্রবের বৃদ্ধির হার তলানিতে।

Advertisment

স্টিল, সার, সিমেন্ট, বিদ্যুতে, কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, রিফাইনারি দ্রব্য- এই আটটি কোর শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশে। এপ্রিল-জুন মাসে এই আটটি শিল্প ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ থাকলেও তার আগের বছর ওই সময়কালে তা ছিল ৪.৯ শতাংশ।

দেশের মোট শিল্প উৎপাদনের প্রায় ৪০.২৭ শতাংশ আসে এই আটটি শিল্পক্ষেত্র থেকে। সার্বিকভাবে এই আটটি শিল্পের উন্নতিতে অধোগতি দেখা দিলেও সারের ক্ষেত্রে অবশ্য চিত্রটা তেমন হতাশার নয়। এবছরের জুলাইয়ে সার উৎপাদন বেড়েছে ১.৫ শতাংশ। গতবছর যা ছিল ১.৩ শতাংশ।

এই আটটি শিল্প ক্ষেত্রেই চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃদ্ধির হার এপ্রিলে ৫.৮ থেকে কমে হয়েছে ৫.৮ শতাংশে। তারপর অবশ্য মে মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৪.৩ শতাংশ। জুনে তার পরিমান আরও কমে যায়। মে মাসের তুলনায় জুনে যার পরিমান কমে আরও ০.৭ শতাংশ।

এপ্রিল থেকে জুন, এই ত্রৈমাসিকে দেশের জাতীয় উৎপাদন হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ শতাংশে। যা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ছাঁটাই। ২০১৩ সালের মার্চে জিডিপির হার মাত্র ৪.৩ শতাংশ। আটটি শিল্পের মধ্যে পাঁচটি বৃদ্ধির হার অস্বাভিক কমেছে। যা মোট উৎপাদনের হারের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত এপ্রিলে-জুনে উৎপাদন বৃদ্ধি কমেছে ০.৬ শতাংশ, যা ছিল গত বছরের দ্বিগুণ সংখ্যার বৃদ্ধির তুলনায় ১২.১ শতাংশ। কৃষি, বনজ ও মৎস্য ক্ষেত্রে গত বছর বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশে। বৃদ্ধির হার নিম্নমুখি পরিকাঠামো শিল্পেও। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ২০১৮ সালে যা ছিল ৯.৬ শতাংশ, এবার তা হয়েছে ৫.৭ শতাংশ।

রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার, গত সপ্তাহে প্রকাশিত ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক অবক্ষয় একটি "গভীর কাঠামোগত পরিবর্তনের পরিবর্তে চক্রবৃত্তীয় নিম্নমুখি বদল। এই মন্দা দেখা দিয়েছে বাণিজ্য, হোটেল, পরিবহন, যোগাযোগ ও সম্প্রচার, নির্মাণ ও কৃষি ক্ষেত্রে।

Read the full story in English

Advertisment