Advertisment

ছোট ব্যবসায়ীদের মন জিততে জিএসটি ক্ষতে প্রলেপ জেটলির

এতদিন পর্যন্ত যেসব ব্যবসায়ীদের বার্ষিক লেনদেন ১ কোটি টাকা এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের আওতায় পড়েন না, তাঁরাই কেবল 'কম্পোজিশন স্কিম'-এর সুবিধা পেতেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জিএসটি এক্সেম্পশন লিমিট বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের জনমোহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করল মোদী সরকার। ছোট ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতে জিএসটি-র 'কম্পোজিশন স্কিম'-এর সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে বার্ষিক লেনদেনের সীমা ১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১.৫ কোটি টাকা করা হল। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে এই নিয়ম। উল্লেখ্য, 'কম্পোজিশন স্কিম'-এর মাধ্যমে বর্তমানে ১ কোটি টাকা বা এর কম লেনদেন হয় এমন ব্যবসায়ীরা সহজ পদ্ধতিতে পণ্য ও পরিষেবা কর জমা দিতে পারেন। তাঁদের এ জন্য জিএসটি জমা দেওয়ার জটিল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় না।

Advertisment

এতদিন পর্যন্ত যেসব ব্যবসায়ীদের বার্ষিক লেনদেন ১ কোটি টাকা এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের আওতায় পড়েন না, তাঁরাই কেবল 'কম্পোজিশন স্কিম'-এর সুবিধা পেতেন। এবার, সেই বার্ষিক লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে ১.৫ কোটি টাকা করে দেওয়া হল। আর কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের দেশের একটা বড় অংশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাববান হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন- ভারতীয় সেনায় সমকামিতা বরদাস্ত নয়: বিপিন রাওয়াত

দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জেটলি আরও জানান, "যাঁরা কম্পোজিশন স্কিম-এর আওতায় পড়েন, তাঁরা প্রতি ত্রৈমাসিকে কর জমা দেবেন, কিন্তু রিটার্ন জমা দেবেন বছরে একবারই। জিএসটি এক্সেম্পশন লিমিট বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে"। এদিনের বৈঠকে কেরালাকে আন্তঃরাজ্য পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে আগামী ২ বছরের জন্য ১ শতাংশ 'বিপর্যয় শুল্ক' নেওয়ার অধিকারও দেওয়া হয়েছে।

রিয়েল এস্টেট এবং লটারি-কে পণ্য ও পরিষেবা করের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বৈঠকে মতভেদ প্রকট হয়েছে। সে জন্য এ বিষয়ে বিবেচনার জন্য ৭ মন্ত্রীর দল গঠন করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Read the full story in English

GST
Advertisment