২৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ৬টি পণ্যকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শনিবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন।
নয়া জিএসটি রিটার্ন ফাইল চালু হবে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে। জিএসটি কাউন্সিল মোট ২৩টি পণ্য ও পরিষেবার হারে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে আয়ে মোট ৫৫০০ কোটি টাকার প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
জেটলি জানিয়েছেন, ১০০ টাকা পর্যন্ত দামের সিনেমার টিকিটের জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে হবে ১২ শতাংশ এবং ১০০ টাকার বেশি মূল্যের সিনেমার টিকিটের জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমে হবে ১৮ শতাংশ।
যে সব পণ্যের জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে মনিটর এবং টেলিভিশন স্ক্রিন, ব্যবহৃত টায়ার, লিথিয়াম ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাঙ্ক, পুলি, গিয়ারবক্স, ডিজিটাল ক্যামোরা এবং ভিডিও রেকর্ডিং ক্যামেরা, ভিডিও গেমস কনসোল, এবং অন্যান্য ক্রীড়াদ্রব্য। সিমেন্ট এবং অটো পার্টসের ক্ষেত্রে অবশ্য জিএসটি কমেনি। সিমেন্ট থেকে বর্তমান রোজগারের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ থেকে রোজগার হয়ে থাকে ২০ হাজার কোটি টাকা।
তীর্থযাত্রায় যাওয়ার জন্য বিশেষ বিমানের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ কর দিতে হবে না। সৌরচালিত প্ল্যান্ট এবং অন্যান্য অপ্রচলিত শক্তিচালিত দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে জিএসটি-র পরিমাণ ৫ শতাংশ কমানো হবে।
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন দেশে যে ১২০০ পণ্য জিএসটি-র আওতায় রয়েছে, তার মধ্যে ২৮ শতাংশের স্ল্যাবে থাকবে ০.৫ শতাংশ কিংবা বড়জোর ১ শতাংশ পণ্য। তার মধ্যে বড় গাড়ি বা বিমানের মত বিলাসদ্রব্য যেমন থাকবে, তেমন সিগারেটের মত ক্ষতিকর দ্রব্যও রাখা হবে।
২৮ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে
১০০ টাকার বেশি মূল্যের সিনেমার টিকিট
মনিটর এবং টেলিভিশন স্ক্রিন
টায়ার এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংক
১৮ থেকে ১২ শতাংশে
১০০ টাকা পর্যন্ত দামের সিনেমার টিকিট
থার্ড পার্টি ইনশিওরেন্স
১২ থেকে ৫ শতাংশে
বিশেষভাবে সক্ষমদের বহনের জন্য গাড়ির অংশ
সৌরশক্তির পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং অন্যান্য অপরচলিত শক্তির পণ্য
এ ছাড়া বেশ কিছু পরিষেবাকে জিএসটি মুক্ত বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
Read the Full Story in English