লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিশেষ উড়ানে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে আগত ভারতীয়দের এ ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ দিতে হবে যাত্রীকেই। এরপরও তাঁদের ৭ দিনের হোন আইসোলেশনে থাকতে হবে। বিশেষ উড়ানে ওঠার আগেই গাইডলাইন মেনে চলার মুচলেকা যাত্রীদের দিতে হবে।
তবে, প্রসূতি, পরিবারের কারোর মৃত্যু হলে, ১০ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে এমন বাবা-মা, সঙ্কটজনক আবস্থার রোগীদের অবশ্য এই গাইডলাইন মানতে হবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হবে।
আরও পড়ুন- আজ থেকে চালু অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা, তবে মানতে হবে নয়া নির্দেশিকা
এছাড়া, এ দেশে ফেরার জন্য বিশেষ বিমানের যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা আবশ্যিক করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। গাইডলাইন পর্যটক সংস্থাই যাত্রীদের দিয়ে দেবে। চলতি বছরের অগাস্টের আগেই দেশে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা চালানো হবে, শনিবার এমনটাই জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। উল্লেখ্য, দেশে চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই আগামী ২৫ মে থেকে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
বিদেশ থেকে ভারতে আগতদের গাইডলাইন:
উড়ানে ওঠার আগেই যাত্রীদের নিজের খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ও ৭ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকার মুচলেকা দিতে হবে। হোম আইসোলেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গাইডলাইন শিথিল বলে বিবেচিত হবে। যেমন, প্রসূতি, পরিবারের কারোর মৃত্যু হলে, ১০ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে এমন বাবা-মায়েদের, সঙ্কটজনক আবস্থার রোগীদের গাইডলাইন মানতে হবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হবে। এ দেশে ভারতে আসতে হলে কী করণীয় ও কী করণীয় নয়, তা সংশ্লিষ্ট এজেন্সি টিকিটের সঙ্গে যাত্রীদের দিয়ে দেবে। ফেরার জন্য বিশেষ বিমানের যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা আবশ্যিক করা হয়েছে।
উড়ান বা জাহাজে চড়ার আগে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় থাকা রোগীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। তারপরই তাঁরা যাত্রার ছাড়পত্র পাবেন।
স্থলবন্দর দিয়ে যাঁরা দেশে ফিরবেন তাঁদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বিমান, স্থল বা জাহাজ বন্দরে উপস্থিত সরকারি আধিকারিককে মুচলেখার কপি যাত্রীরা দেবেন। মুচলেকা যাত্রীকেই লিখতে হবে।
উড়ানে চড়ার আগে ও পরে বিমানবন্দরে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে হবে। এছাড়া সর্বত্র মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে নজরদারি চালাবে বন্দর, উড়ানের কর্মীরা।
বন্দরে নামার পর প্রকত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। কোরার সমস্যা দেখা দিলে দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে প্রটোকল মেনে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
যাত্রী যে প্রদেশের, সংশ্লিষ্ট সেই রাজ্য সরকারই কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করবে। আইসিএমআর-এর বিধি মেনেই তাঁদের রাখা হবে। প্রত্যেকের নমুনা
পরীক্ষা হবে। পজিটিভ মিললে চিকিৎসা হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে (সরকারি/বেসরকারি) পাঠানো হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন