Advertisment

প্যারোলে মুক্ত হয়ে শ্লীলতাহানি করে বিলকিস বানোর ধর্ষক! তা-ও দিব্যি ছাড়া পায় মিতেশ ভাট

প্যারোলে থাকাকালীনও অপরাধ, তারপরও বিলকিস মামলার আসামীদের মুক্তিতে নো-অবজেকশন দিয়েছে পুলিশ

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bilkis Bano, Bilkis Bano case, Bilkis Bano convicts, Bilkis case, Bilkis Bano news, India news, Gujarat news

কেন্দ্রের অনুমোদনেই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি!

গুজরাটের দাহোদের পুলিশ সুপার চলতি বছরের গোড়ায় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনের মুক্তিতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন। কিন্তু, নথি বলছে, সাজাপ্রাপ্ত দুই রমেশ চন্দনা (৫৮) ও মিতেশ ভাট (৫৭)-এর বিরুদ্ধে প্যারোলে বেরনোর পরও অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে মিতেশের বিরুদ্ধে প্যারোলে বেরনোর পর এক মহিলার শালীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

Advertisment

অথচ, ২০২২ সালের ২৫ মে, এই মিতেশের আগাম মুক্তির ব্যাপারে মতামত জানাতে গিয়ে দাহোদের তৎকালীন পুলিশ সুপার বলরাম মিনা, দাহোদের জেলাশাসক হর্ষিত গোসাভিকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন করেছিলেন যে মিতেশের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৯ জুনের একটি ঘটনায় রন্ধিকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে যে এফআইআরটি ৩৫৪ ধারায় দায়ের হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও মহিলাকে আক্রমণ করে বা অপরাধের উদ্দেশ্যে বলপ্রয়োগ করা, ক্ষোভ প্রকাশের উদ্দেশ্যে বা জেনে ওই মহিলার শালীনতা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে মিতেশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ৫০৪ ধারায় শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান, ৫০৬ (২) ধারায় অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন এবং ১১৪ ধারায় অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ মিতেশের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন হাজার দিনেরও বেশি জেলমুক্ত ছিলেন বিলকিসের ধর্ষকরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল

চিঠিতে বলা হয়েছিল যে এই মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। একইসঙ্গে দাহোদের পুলিশ সুপার তাঁর চিঠিতে লিখেছিলেন, মিতেশ আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে। তাই, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায় যে বন্দি মিতেশ ভাটের আগাম মুক্তিতে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আপত্তি নেই।'

বিলকিস মামলায় এত কিছুর পরও দিব্যি ছাড়া পেয়ে গিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত মিতেশ ভাট। কারণ, খোদ পুলিশ সুপার তাঁর ছাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে নো-অবজেকশন দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, দেরীতে আত্মসমর্পণের জন্য ২০১৫ বিলকিস মামলার অপর সাজাপ্রাপ্ত চন্দনার বিরুদ্ধে জেল আইন ৫১ (ক), এবং ৫১ (বি) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু ৭ মার্চ, ২০২২ তারিখে দাহোদের তৎকালীন পুলিশ সুপার হিতেশ জয়সার জানিয়েছিলেন, 'চন্দনাকেও আগাম মুক্তি দিতে কোনো আপত্তি নেই।' নথি বলছে, চন্দনা ১১ বার ফার্লো ছুটি পেয়েছিল। তার মধ্যে তিনবার দেরিতে আত্মসমর্পণ করেছিল। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ১২২ দিন দেরিতে আত্মসমর্পণ করেছিল।

gujarat Godhra Riot Bilkis Bano
Advertisment