রামনবমীর মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার গুজরাট। বাইক র্যালিতে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধে গুজরাটের দুটি জায়গায়। রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ৭০ কিমি দূরে হিম্মতনগর এবং ১২৫ কিমি দূরে খামভাতে এই সংঘর্ষগুলি হয়। অভিযোগ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলে পাথর ছোঁড়া হয়। এবার এই নিয়ে আসরে নামলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,গান্ধীনগরে সিনিয়র পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, এই ধরণের ঘটনায় জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না।
বৈঠকে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি জানান 'খামভাতে এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিম্মতনগরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে'। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কার্যালোয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে," গুজরাট একটি প্রগতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ রাজ্য হিসাবে পরিচিত এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না, সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"।
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়া খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সবরকাঁথার পুলিশ সুপার বিশালকুমার ভাঘেলা বলেন, “পুলিশ ভাঞ্জারভাসে পাথর ছোড়ার খবর পাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে। পাথর নিক্ষেপকা্রীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
মঙ্গলবারই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হিম্মতনগরে পৌঁছেছেন ডিজিপি আশিস ভাটিয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।রবি ও সোমবার রাতের ঘটনা এবং এলাকার সামগ্রিক আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হিম্মতনগরে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভাটিয়া আরও জানান, 'অপরাধীদের ধরতে এবং বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের আলাদা দল গঠন করা হয়েছে'।
Read full story in English