পেশায় চা বিক্রেতা গুজরাট পরিবারে মেয়ের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যর পর্দাফাঁস। আত্মহত্যা নয়, ১৯ বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করেই খুন করেছে তাঁর পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই কচ্ছ জেলার গান্ধীধাম শহরের এই গুজরাটি পরিবারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের নেপথ্যের কারণ? গ্রামেরই দলিত ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ১৯ বছরের মেয়ে। অতএব...
পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে গোটা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম ভারতী রাজগোর। দলিত ছেলে মনোজ ভাগেলাকে বিয়ে করার বিষয়ে প্রথম থেকেই মা রেশমি (৪০), বাবা রমেশ (৪২) এবং দাদা মনীশ (২১)-এর সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে প্রথমে মনীশ তাঁর হাতে চেপে ধরে, এরপর রেশমি তাঁর মেয়েকে বালিশ চাপা দেন। ঘটনাটি ঘটে ২৭ ফেব্রুয়ারি, গান্ধীধাম গ্রামের সীমান্তে ভারতীর বসতবাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে ভারতীকে খুন করে তাঁর গলার ওড়না দিয়ে তাঁকে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেয় পরিবার। এরপর আত্মহত্যার নাম করে খবর দেন সকলকে। এরপর ভারতীকে রামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় নজিরবিহীন দৃশ্য! মসজিদ পাহারা দিলেন হিন্দুরা, মন্দির আগলে মুসলিমরা
মঙ্গলবার গান্ধীধাম পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ ইনস্পেক্টর বিপিন সুতার বলেন, "আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পরিবারের উপর। ভারতীর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখেছি আমরা। এরপরই আমরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠাই। পরের দিন সকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই বোঝা যায় আত্মহত্যা নয়, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীর পরিবারের সকলকে গ্রেফতার করি আমরা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা এও মেনে নেন যে ভারতীর সঙ্গে মনোজের বিয়ের প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি তাঁরা।"
আরও পড়ুন: অর্ডার দেওয়া চপার দিয়ে নিপুণভাবে খুন, গামছায় মোছা রক্ত!
পুলিশ ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন খুনের পর মেয়ের জামা বদল করে তারপর তাঁকে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেয় তাঁর বাবা ও দাদা। খুনের সময় পরিহিত জামা তাঁরা বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে তা উদ্ধারও করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ক্লাস নাইনের পরই স্কুলের পড়া ছেড়েছিলেন ভারতী। তারপর শ্রমিকের কাজ করত সে। সেখান থেকেই মনোজের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন