করোনা আক্রান্তের নিরিখে এখনও দেশের মধ্যে গুজরাট প্রথম পাঁচে। সেই কোভিড -১৯ পরিস্থিতি পরিচালনার বিষয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ করার এক সপ্তাহ পর গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন একটি ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে জানিয়েছে যে "রাজ্য সরকার যদি কিছু না করত তবে এতক্ষণে আমরা সবাই মারা যেতাম।" উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনাভাইরাস নিয়ে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কাজ না করার অভিযোগ উঠেছিল।
প্রসঙ্গত ২২ মে বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি ইলেশ ভোরার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয় যে রাজ্য সরকার 'কৃত্রিমভাবে পরিচালনা' করছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এমনকী আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালটিকে 'অন্ধকূপ ন্যায়' বলেও উল্লেখ করেন। ১১ মে জমা পড়া কোভিড বিষয়ক জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এই কথা বলা হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। ২৮ মে একটি নতুন বেঞ্চ গঠিত হয়। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি পার্দিওয়ালা।
আরও পড়ুন, করোনায় মৃত রোগীকে দাহ পরিবারের, হাসপাতালের ফোন ‘রোগী সুস্থ আছে’!
এরপর এই নবগঠিত বেঞ্চের তরফে বলা হয় যে, "আমাদের বার্তা খুব স্বচ্ছ এবং পরিস্কার ছিল। এই কঠিন সময়ে যারা তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন না, রাজ্য সরকারের কাজের সমালোচনা করাও তাঁদের অধিকারে নেই। এ অভিযোগ করা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে জানান হচ্ছে যে রাজ্য সরকার যদি কিছু না করত তবে সম্ভবত এখনই আমরা সকলেই মারা যেতাম। এই মামলা-মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আমরা যা করছি তা রাজ্য সরকারকে তার সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে সচেতন ও সক্রিয় রাখতেই করছি”।
শুনানিতে উচ্চ আদালতের তরফে সাফ বলা হয়েছে সরকারের ত্রুটি তুলে ধরে অনেকে 'মানুষের মনে ভয় তৈরি করার চেষ্টা করছে।' রাজ্য সরকারের নির্দেশগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে এই মর্মে জনস্বার্থ মামলায় মন্তব্য করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করার কথাও বলেন বিচারপতিদের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, "জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে সমাজের না পাওয়া কিছুকে সমর্থন করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে এই মামলা করে রাজনৈতিক লাভ ওঠানো। কোভিড -১৯ সঙ্কট কোনও রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, মানবিক সঙ্কট।"
আদালত আরও জানায় যে, “এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের ভূমিকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় থাকা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় না। মৃত ব্যক্তিকে ফেরানোও যায় না। তাই কুকথা না বলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া শ্রেয়। তাই সমালোচনা করতে হলে গঠনমূলক সমালোচনা করাই ভাল।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন