২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় নাম জড়ায় সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড় সহ দুই প্রাক্তন আইপিএসের। গুজরাট হিংসা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মুম্বইয়ে তার বাসভবন থেকে আটক করা হয় সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়কে। একই সঙ্গে গুজরাট পুলিশ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমার এবং কর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়ের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬৮, ৪৭১ , ১৯৪ ,২১১ নং ধারার অধীনে তিনটি মামলা করেছে। একই সঙ্গে ২১৮ এবং ১২০ বি ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে অভিযুক্তরা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। উক্ত এফআইআরের ভিত্তিতে প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমার এবং তিস্তা শেতলওয়াড়কে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ মুম্বইয়ে জুহুর বাড়ি থেকে তিস্তাকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন শাখা। একইভাবে শ্রীকুমারকেও আহমেদাবাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা আটক করেন। ২০১৪ সালে শ্রীকুমার আম আদমি পার্টিতে যোগ দেন। এই মামলায় অপর অভিযুক্ত সঞ্জীব ভাট ইতিমধ্যেই পুলিশি ফেহাজতে রয়েছেন। উল্লেখ্য, গুজরাট হিংসায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ৬৪ জনকে ক্লিনটিট দিয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও একই রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: <গেরুয়া-বিরোধী বিক্ষোভে রাশ টানতে এবার ময়দানে ED, কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত>
এরপরই সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একা সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাট হিংসা নিয়ে তিস্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনেন। আর ঠিক তারপরই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই সমাজকর্মীকে। তিস্তার আইনজীবী বিজয় হিরেমাথের দাবি, আমাদের আগে থেকে কোনও খবরই দেওয়া হয়নি।গুজরাট এটিএস জোর করে ওঁর ঘরে ঢুকে ওঁকে শারীরিক নিগ্রহ করে ধরে নিয়ে যায়।
গুজরাট পুলিশের বিশেষ তদন্ত কারী দলের সদস্যের তদন্তে উঠে আসে সঞ্জীব ভাট গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আর আগে যা বয়ান দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একই ভাবে আরবি শ্রীকুমারের বয়ানও ছিল অসঙ্গত। এরপরই তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে গুজরাট পুলিশ।