একটানা ভারী বৃষ্টিপাত! তার জেরেই উপচে পড়েছে অম্বিকা নদী। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গুজরাটের একাধিক জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এই নিয়ে ১ জুন থেকে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯। মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মোট ১৮ হাজার মানুষকে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাট ছাড়াও কচ্ছ এবং রাজকোট জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। " ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বর্ষায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯”।
তিনি আরও বলেছেন “গত কয়েকদিনে বন্যা কবলিত এলাকায় থেকে প্রায় ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি লোক ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন”। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব পি স্বরূপ বলেছেন, “১৮টি জলাধারে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে”।
রাজকোট শহর পাকা রাস্তা বন্যার জলে ভেসে যাওয়ায় তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর ৫০ এর এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায় সাইকেলে করে যাওয়ার সময় প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে”। নভসারি জেলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় ইতিমধ্যেই দুই শ্রমিক কাজ চলালাকীন বন্যার জলে ভেসে গিয়েছেন তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
আরও পড়ুন: <ইস্তফা দেওয়ার আগেই বউকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালালেন গোটাবায়া}
এদিকে গুজরাট প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই উপকূলীয় বাহিনীর বিশেষ চলার ব্যবহার করা হচ্ছে তবে লাগাতার বর্ষণ ও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। নভসারি, গির সোমনাথ, সুরত, রাজকোট, বনসকাঁঠা, বলসাড়, ভাবনগর, কচ্ছ, জামনগর, অমরেলী, দ্বারিকা এবং জুনাগড়ে NDRF এর ১৩ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বন্যার জল জমে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৩০০ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। গুজরাটের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শুধু গুজরাট নয়। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরাখণ্ড, কেরলের মত রাজ্যের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত।