২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় উত্তাল হয়েছিল দেশ। বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সিটের ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দাঙ্গায় মৃত সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার সিটের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে জাকিয়া জাফরির দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বিধবা জাকিয়া জাফরির দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আরও কয়েকজনকে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) দ্বারা দেওয়া ক্লিন চিটকে চ্যালেঞ্জ করে।
বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বে, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং সি টি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর গুজরাট হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জাকিয়া জাফরির আপিলের শুনানি করে। গত ডিসেম্বরে শুনানি শেষ হলেও আদেশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। সিটের রিপোর্ট অনুসারে দাঙ্গা-সংক্রান্ত মামলায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদী এবং আরও ৬৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেসের একটি কোচ পুড়িয়ে দেওয়ার একদিন পর, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে নিহত ৬৪ জনের মধ্যে একজন ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরি। এরপর দাঙ্গা আরও ভয়াবহ হয়।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিট গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ক্লিন চিট দিয়ে একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছিল। ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক সহ আরও 63 জন সমন্ধে সিট জানায় যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও 'বিচারযোগ্য প্রমাণ' নেই।
২০১৮ সালে, জাকিয়া জাফরি সিটের গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। যা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর প্রত্যাখ্যান করে হাইকোর্ট। এরপর একই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জাকিয়া। আবেদনে বলা হয়, সিট আদালতে যে ক্লোজার ক্লিন চিট রিপোর্ট দিয়েছে তা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা 'প্রমাণ যোগ্যতা' বিবেচনা না করেই হাইকোর্টে খারিজ করে দিয়েছে।
এবার জাকিয়া জাফরির মামলা সুপ্রিম কোর্টও খারিজ করে দিল।