দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব খোলার নির্দেশকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় গুজরাটের অঙ্কলেশ্বরের একটি স্কুলে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বোর্ড পরীক্ষার সুপারভাইজারকে। বুধবার ভারুচের জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারুচ জেলার ডিইও স্বাতি রাউলজি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'ঘটনাটি অঙ্কলেশ্বরের লায়ন্স স্কুলে বোর্ড পরীক্ষার সময় ঘটেছে"। তিনি আরও বলেছেন, “আমি একজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যিনি অভিযোগ করেছেন যে বুধবার লায়ন্স স্কুলে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় পরীক্ষার্থীকে হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল…! সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি'।
ডিইও আরও বলেন, বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে বোর্ড পরীক্ষায় পোশাকে কোন বিধিনিষেধ ছিল না। বৃহস্পতিবার, মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কিছু ছাত্রের অভিভাবকরা প্রতিবাদ দেখাতে স্কুলে জড়ো হন এবং ঘটনার বিষয়ে ভারুচের ডিইও-কে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
ছাত্রীর বাবা, যিনি ডিইও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি বলেছেন, "একটি ধর্মের মহিলা শিশুদের আলাদা করা হচ্ছিল এবং তাদের সঙ্গে অপরাধীর মত আচরণ করা হচ্ছিল… এই ধরণের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য স্কুলের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত "।