সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। মুম্বইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিস্তা শীতলবাদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সান্তাক্রুজ থানায়। কয়েক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে শাহ অভিযোগ করেছিলেন, তিস্তা শীতলবাদ গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন।
আর তারপরেই এই পদক্ষেপ নিল আহমেদাবাদ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। একদিন আগেই সুপ্রিমকোর্ট গুজরাটের দাঙ্গা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে। আর, তার পরই আহমেদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেপ্তার করেছে অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি আর বি শ্রীকুমারকে। পুলিশ কর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকুমারকে অভিযুক্ত করে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন, ঢাকার সঙ্গে জুড়ল দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলা
অন্য একটি মামলায় কারাগারে থাকা আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে বরখাস্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে আহমেদাবাদ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। এদিকে গুজরাট পুলিশ তাঁকে ও তিস্তা শীতলবাদকে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিস্তা শীতলবাদের আইনজীবী বিজয় হিরেমাথ। তিনি বলেন, 'আমাদের না-জানিয়েই পুলিশকর্মীরা জোর করে জুহু তারা রোডের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমাকে ও তিস্তা শীতলবাদকে লাঞ্ছিত করেছে। তারপর ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশ আইপিসির ধারা ৪৬৮ অর্থাৎ প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি এবং ৪৭১ ধারা অর্থাৎ জাল ইলেকট্রনিক্স রেকর্ড বা জাল নথি আসল বলে চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছে।'
শুক্রবারই, সুপ্রিম কোর্ট জাকিয়া জাফরির, 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সেই ক্লিনচিটকে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' বলে অভিযোগ করেছেন জাকিয়া জাফরি। তিনি সিটের ক্লিনচিটকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ করেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদী গুজরাত দাঙ্গার সময় সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় অন্যরা দোষী সাব্যস্ত হলে মোদী কেন হবেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন জাকিয়া। গুজরাত দাঙ্গায় জাকিয়া জাফরির স্বামী প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
Read full story in English