রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ হারাল ১৩ জন। তার মধ্যে সাতটি শিশু। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। আহতদের মধ্যে ১৪ জন শিশু এবং ৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য রাশিয়ার এক স্কুলে। ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই স্কুল রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে উদমুর্তিয়া অঞ্চলে। সেখানকার পূর্বের শহর ইজেভস্ক। সেখানকার স্কুলে এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে।
উদমুর্তিয়ার গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে এই নির্বিচারে গুলিবর্ষণের পর অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী নিজেকেও গুলি করেছে। যে স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ১ থেক ১১ ক্লাস পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। ঘটনার পর স্কুল খালি করে দেওয়া হয়েছে।
গোটা এলাকায় যাতায়াতে বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলেই গভর্নর জানিয়েছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী বন্দুকবার পরনে ছিল কালো টি-শার্ট। যার ওপর ছিল 'নাৎসি প্রতীক'। বন্দুকবাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আর, তেমন কিছু জানা যায়নি বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- ভারতে এলে কী হবে, এখনও চিতাদের এদেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ঢের দেরি!
রাশিয়ার শহর ইজেভস্কে প্রায় ৬ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। উরাল পর্বতমালার পশ্চিমে অবস্থিত এই শহর। আমেরিকায় স্কুলে বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা আকছার ঘটলেও রাশিয়ায় এই ধরনের ঘটনা তেমন একটা শোনা যায় না। তার পরও কেন এমন ধরনের ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন। বিশেষ করে, বন্দুকবাজের পরনে নাৎসি প্রতীক লাগানো পোশাক থাকায়, ঘটনার সঙ্গে নব-নাৎসিদের যোগসাজশের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের শাসক গোষ্ঠীর অনেকের সঙ্গেই নব-নাৎসিদের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণেই তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েই অবসান ঘটেছিল নাৎসিদের প্রধান হিটলার ও তার সাম্রাজ্যের।
Read full story in English