Advertisment

গুরগাঁওয়ের গুলিচালনার ঘটনায় মারা গেলেন বিচারকের স্ত্রী, আশঙ্কাজনক পুত্র

পুলিশের বয়ান অনুযায়ী কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য বাজারে গিয়েছিলেন ঋতু এবং ধ্রুব। অভিযুক্ত মহীপাল তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রক্ষী হিসেবে। কেনাকাটি সেরে তাঁরা গাড়ি করে ফেরার সময়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে সার্ভিস রিভলভার থেকে ঋতু ও ধ্রুবর ওপর গুলি চালায় মহীপাল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেনাকাটি সেরে ফেরার সময়ে সার্ভিস রিভলবার থেকে তাঁদের উপর গুলি চালায় মহীপাল

গুরগাঁওয়ের গুলিচালনার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কৃষণ কান্ত শর্মা-র স্ত্রী ঋতু। কৃষণ কান্ত শর্মার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে তিনি আহত হয়েছিলেন শনিবার। আঘাতের জেরে এদিন মাঝরাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisment

গুরগাঁও পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সুভাষ বোকেন জানিয়েছেন, ‘‘বিচারকে স্ত্রী রাতে প্রাণত্যাগ করেছেন। তাঁর পুত্র এখনও হাসপাতালে রয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’

৩৭ বছরের ঋতু ও তাঁর ১৮ বছরের ছেলে ধ্রুবকে শনিবার সন্ধেয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঋতুকে দুবার গুলি করা হয়য়েছিল, একবার পেটে ও একবার ঘাড়ে। ধ্রুবকে গুলি করা হয়েছিল তিনবার, দুবার মাথায় ও একবার ঘাড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছিল শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ, প্রকাশ্য দিবালোকে গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৪৯-এ ব্যস্ত ইউনিটেক আর্কেডিয়া অঞ্চলে। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য বাজারে গিয়েছিলেন ঋতু এবং ধ্রুব। অভিযুক্ত মহীপাল তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রক্ষী হিসেবে। কেনাকাটি সেরে তাঁরা গাড়ি করে ফেরার সময়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে সার্ভিস রিভলভার থেকে ঋতু ও ধ্রুবর ওপর গুলি চালায় মহীপাল।

৩২ বছরের মহীপাল আদতে মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা। তিনি হেড কনস্টেবল পদে ছিলেন। ঘটনার পরেই সে গাড়ি করে ঘটনাস্থল থেকে পালায়। ঘণ্টা দুয়েক পরে গুরগাঁও-ফরিদাবাদ রাস্তার গোয়াল পাহাড়ি থেক তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে এই পরিবারের সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে কাজ করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আহতদের প্রথমে পার্ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাঁদের সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদান্ত- দ্য মেডিসিটিতে। ঋতু মারা গেলেও তাঁর ছেলে ধ্রুব এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, প্রাণে বাঁচলেও বাকি জীবনে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়েই চলতে হবে আঠারো বছরের এই তরুণকে।

Violence
Advertisment