মিশেল জামরিস্কো
বাঁধ ভেঙেছে দূষণসীমা, দূষণ বনাম দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার ১০ টির মধ্যে সাতটিই রয়েছে ভারতে। দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইকিউ এয়ার এয়ারভিসুয়াল এবং গ্রিনপিস একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে, ভারতের মধ্যেও দূষণের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত গুরগাঁও। বাকি তিনটি শহরের মধ্যে একটি চীনে, অন্যটি পাকিস্তানে। গত বছরের তুলনায় গুরগাঁওয়ের দূষণ মাত্রা কমলেও, তালিকার শীর্ষ থেকে কেউ সরাতে পারে নি তাকে। প্রথম পাঁচে চারটি ভারতীয় শহরের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পাকিস্ততানের ফয়সলাবাদ।
দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ুতে পিএম ২.৫ নামে সূক্ষ্ম বস্তুকণার উপস্থিতি, যা আমাদের ফুসফুস এবং রক্ত চলাচলকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করে।
ভারতের গুরগাঁও, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, ভিওয়াড়ি, নয়ডা, পাটনা, লখনউ, চিনের হোতান ও পাকিস্তানের লাহোর এবং ফয়সলাবাদ রয়েছে বিশ্বের দূষিততম দশটি শহরের তালিকায়। দূষণের তালিকাতে যে ভারতের প্রাধান্য বেশি তা স্পষ্ট। কার্যত তালিকাটিতে ২০টি শহরকে রাখা হয়েছে। যেখানে প্রথম ১৫ টি স্থানই দখল করেছে ভারত। দূষণ তালিকায় একাদশ স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।
দূষণের 'টপ টেন'
গ্রিনপিসের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়েব সানো বলেন, "দূষণ আমাদের স্বাস্থ্য এবং আর্থিক সামর্থ্যের ওপর প্রতিনিয়ত কোপ বসিয়ে চলেছে। প্রাণহানি ছাড়াও, প্রায় ২২৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে। এবং চিকিৎসার খরচের পরিসংখ্যান ছাড়িয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার।"
বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে দ্রুততম গতিতে এগোতে থাকা বড় দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ভারত, যার ২২টি শহর রয়েছে দূষণ তালিকার প্রথম ত্রিশে। বাকিদের মধ্যে রয়েছে চীনের পাঁচটি, পাকিস্তানের দুটি এবং বাংলাদেশের একটি শহর। অবস্থা এমন যে ভারতের গ্রোস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট বা মোট দেশজ উৎপাদনের ৮.৫ শতাংশ পর্যন্ত হারিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার এবং উৎপাদনশীলতা কমার কারণে।
তথ্য অনুযায়ী, দূষণ তালিকায় বরাবরের মতোই নাম থাকলেও আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে চীনের দূষণ পরিস্থিতি। আগের বছরের তুলনায় ২০১৮ সালে চীনে গড়ে দূষণের হার কমেছে ১২ শতাংশ।
Read the full story in English