Advertisment

সাংবাদিক খুনে অপরাধী সাব্যস্ত রাম রহিম ও তার তিন শিষ্য

গুরমিত রাম রহিম সিং আপাতত ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের জেল খাটছে। অন্য তিন অভিযুক্তকে রায়ের পরেই হাজতে পোরা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ধর্ষণ মামলায় জেল হয়েছিল আগেই, এবার সাংবাদিক খুন মামলাতেও দোষী রাম রহিম

ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআই আদালত। রাম রহিমের সঙ্গে তার আরও তিন অনুগামীকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে। সকলেই হত্যা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অপরাধী বলে জানিয়েছে আদালত। ২০০২ সালে শিরসার সাংবাদিক চন্দের ছত্রপতিকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে গুরমিত, কৃষণ লাল, নির্মল সিং এবং কুলদীপ সিং- এমনটাই জানিয়েছে পাঁচকুলার সিবিআই আদালত।

Advertisment

সিবিআই বিচারপতি জগদীপ সিং এই রায় ঘোষণা করেছেন। গুরমিত রাম রহিম সিং আপাতত ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের জেল খাটছে। অন্য তিন অভিযুক্তকে রায়ের পরেই হাজতে পোরা হয়েছে।

রাম রহিম সহ অন্যদের শাস্তির পরিমাণ ঘোষিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি।

এদিন ভিডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতির মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিয়েছিল গুরমিত। আপাতত সে রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি আছে। অন্য তিন অপরাধীকে আম্বালা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

২০০২ সালের মে মাসে রাম চন্দের ছত্রপতি তাঁর খবরের কাগডে 'পুরা সাচা' বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সে প্রতিবেদনের বিষয় ছিল শিরসার জেরা সাচা সৌদায় সাধ্বীদের ওপর চলা যৌন শোষণ নিয়ে এক অজ্ঞাতনামা সাধ্বীর অভিযোগ। এ ঘটনার পর, ওই বছরেরই অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে কুলদীপ সিং এবং নির্মল সিং রাম চন্দেরের ওপর গুলি চালায়। ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল কৃষণ লালের .৩২ বোরের লাইসেন্সড রিভলভার।

ছত্রপতিকে প্রথমে শিরসার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাঁকে রোহতকে পিজিআইএমএস-এ পাঠানো হয়। কুলদীপকে সেদিনই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। নির্মল সিংকে গ্রেফতার করা হয় ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর। ডেরা সাচ্চা সৌদার একটি ওয়াকি টকিএবং কৃষণ লালের .৩২ বোরের রিভলভার পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে।

২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর হরিয়ানা পুলিশ এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, কিন্তু সেই চার্জশিটে ডেরা প্রধানের নাম ছিল না। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে রাম চন্দের ছত্রপতির ছেলে অংশুল ছত্রপতি পাঞ্জাব হরিয়ানা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ২০০৩ সালের ১০ নভেম্বর সিবিআই-কে এই মামলা হস্তান্তরিত করা হয়।

সিবিআইয়েরর চার্জশিটে সব অভিযুক্তদের নাম নথিবদ্ধ করা হয়।   তদন্তকারী সংস্থা তাদের চার্জশিটে জানায়, বাবা গুরমিত সিং, কৃষণ লাল, কুলদীপ সিং এবং নির্মল- সকলের বিরুদ্ধেই খুনের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে। গুলির আঘাতেই মারা যান ওই সাংবাদিক। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

journalist Murder
Advertisment