উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গুয়াহাটিতে আগামিকাল ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের দিন উত্তোলিত হবে দেশের তৃতীয় উচ্চতম জাতীয় পতাকা। এই ৩০০ ফিট উচ্চতার, ১২০ x ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যপ্রস্থের পতাকাদণ্ডটির ভীত নির্মাণের কাজ চলছে এখন। সারানিয়া পাহাড়ের ওপর গান্ধী মন্দিরে এই পতাকাটি ওড়ানো হবে। এখনও অবধি কাজ শেষ না হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কর্তৃপক্ষের।
দেশের উচ্চতম জাতীয় পতাকা রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অমৃতসরের আটারি এলাকায়। সেটির উচ্চতা ৩৬০ ফিট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতাকা রয়েছে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে। কোলাপুরের পতাকাদণ্ডের উচ্চতা ৩০৩ ফিট।
গুয়াহাটি স্মার্ট সিটি লিমিটেড (GSCL) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুয়াহাটির পতাকাদণ্ড নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করেছে আসামের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর। এই খরচের পরিমাণ ২.৯১ কোটি টাকা। গুয়াহাটি স্মার্ট সিটি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পটি তৈরি করছে টাটা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
গুয়াহাটি স্মার্ট সিটি লিমিটেড (GSCL) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পতাকাদণ্ড নির্মাণ করতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। পুনে থেকে কয়েকদিন আগেই এসে পৌঁছেছে এই পতাকা দণ্ড। এত উঁচু পতাকাদণ্ড এলাকায় কোনও পরম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই আধিকারিক জানান, ‘‘আমরা নিরাপত্তার সমস্ত রকম দিক খতিয়ে দেখেছি। গান্ধী মণ্ডপ এলাকার বাসিন্দাদের কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’’
এই পতাকাটি পর্যটক আকর্ষণের একটি কেন্দ্র হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এখন একমাত্র আশঙ্কা সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে। ১৩ অগাস্ট দুপুর পর্যন্ত পতাকাদণ্ডের বসানোর কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হয়েছে।
পতাকাদণ্ডের ভিত যেহেতু তৈরির জন্য বোরঝারের ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। বিমানের সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য যে বিশেষ আলো ব্যবহার করা হয়, পতাকা দণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই এয়ারক্র্যাফট ওয়ার্নিং লাইটও।