শহরের রেস্তোরাঁ, বার খোলা থাকলেও কেন জিম ও ফিটনেস সেন্টার বন্ধ থাকবে! এই দাবি নিয়ে দিল্লির প্রায় ২০০ জিম প্রশিক্ষক এবং মালিকরা জিম সেন্টার খোলার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের বাসভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের দাবি, করোনা কালে এমনিতেই ব্যবসা তলানি, তার ওপর দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে সংসার চালানো দুরহ হয়ে পড়ছে।
এক বিক্ষোভকারী জানান, ‘শহরে যেখানে বার, রেস্তরাঁ সহ অন্যান্য সব কিছুই খোলা তখন জিম সেন্টার খোলা রাখাতে সমস্যা কোথায়, সরকারের উচিত আমাদের কথাও বিবেচনা করা’। দিল্লি জুড়ে প্রায় ৫,৫০০ জিম সেন্টার বন্ধ রয়েছে। ৫ লক্ষের বেশি পরিবার এই জিম সেন্টারের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে রয়েছেন। দিল্লি জিম অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি চিরাগ শেঠি বলেন, “দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই বাজার দোকান বিয়েবাড়িতে ছাড় দিয়েছে যেখানে প্রচুর লোকের সমাগম, আমাদের সেন্টারগুলিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ আসেন এবং তাঁরা সকলেই শরীর সম্পর্কে সচেতন। আমাদের দাবি অবিলম্বে জিম সেন্টার খোলার ব্যাপারে সরকার ভাবনা চিন্তা করুক”।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সেন্টার খোলার দাবি জানিয়ে এদিন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে “জিম সেন্টারের মালিকরা গুরুতর আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। “ফিটনেস শিল্প দেউলিয়া হওয়ার পথে। কোনোভাবে দুটি লকডাউন পার করেছে, কিন্তু এবার তার ভিত্তি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে”।
শেঠি যোগ করেছেন, “সারা বিশ্বে কোথাও জিমে করোনা সংক্রমণের কোনও ঘটনা দেখা যায়নি। এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ৫ লাখ পরিবারের কথা ভাবা উচিত ডিডিএমএর। শীঘ্রই জিম চালু না হলে হাজার হাজার মালিক ও তাদের পরিবার প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে।”
বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে ডিডিএমএ বাজার, মলে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে এবং থিয়েটার এবং রেস্তোঁরা এবং বারগুলিকে ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও জিম সেন্টার পুনরায় খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবিষয়ে প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক বলেন, ‘মানুষ খুব কাছাকাছি জিমে ব্যায়াম করেন এবং সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন করা সেন্টারগুলির পক্ষে কঠিন। এটি করোনা ভাইরাসের জন্য একটি সুপার স্প্রেডার হতে পারে। বিষয়টি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বিবেচনা করে দেখা হবে এবং সংক্রমণ কমতে থাকলে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।”