সোমবার তখন মধ্য়রাত। এ বছরের পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপকদের মধ্য়ে তাঁর নাম রয়েছে। একথা জানার পর কেঁদে ফেলেছিলেন চিত্রসাংবাদিক চান্নি আনন্দ। ৫০ বছর বয়সী চান্নি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম তিন চিত্রগ্রাহকের মধ্য়ে একজন যিনি এই সম্মান অর্জন করলেন। তিনি কখনই ভাবতেই পারেননি যে এই পুরস্কার তিনি পাবেন।
পুরস্কার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে পরিবারের সকলে ইউটিউবে অনুষ্ঠানের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছিলেন। সে সময় চান্নির ২০ বছর বয়সী ছেলে অভয় তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন তাঁরা সকলে মিলে এ অনুষ্ঠান দেখছে। ''তুমি কি পুরস্কারের আশা করছ'? চান্নিকে একথাই জিজ্ঞেস করেছিল বিকমের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অভয়। ছেলের প্রশ্নের জবাবে আনন্দ বলেছিলেন, ''আমি আন্দাজও করছি না। ওকে শুধু বলেছিলাম যে আমার অফিস বাড়ির সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেখতে বলেছে, নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে''।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে হেপাটাইটিস সি-এর প্রতিষেধক
চান্নি ছাড়াও পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন মুক্তার খান ও কাশ্মীরের ইয়াসিন দার। ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে এই ত্রয়ী পুরস্কার পেয়েছেন। ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু-কাশ্মীরের জীবন ক্য়ামেরার লেন্সে বন্দি করেছিলেন তাঁরা। আর এস পুরা সেক্টরে শস্য়খেতের মধ্য়ে দাঁড়িয়ে বাইনোকুলার নিয়ে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এক বিএসএফ কর্মী, এ ছবিই তুলেছিলেন চান্নি।
পুলিৎজার পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পর রাত ১টা নাগাদ অফিস থেকে ফোন পেয়েছিলেন চান্নি। চান্নির থেকে ফ্য়ামিলি ফটোগ্রাফের আব্দার জুড়েছিল অফিস। সেইমতো পড়শি একজনকে ডেকে এনে বাড়ির সকলকে নিয়ে ছবি তুলেছেন তিনি।
জম্মুর বাসিন্দা চান্নি আনন্দ ইংরেজি দৈনিক 'স্টেট টাইমসে'র হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর 'আমার উজালা'তে কাজ করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে অ্য়াসোসিয়েটেড প্রেসে স্ট্রিঞ্জার হিসেবে কাজ করার আগে কয়েকটি ম্য়াগাজিনেও কাজ করেছেন তিনি। ৪ বছর আগে ওই সংবাদসংস্থার কর্মী করা হয় তাঁকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন