পুরনো হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার এমআই-১৭ কপ্টারগুলো। তাই সেগুলো বাতিল করে কাজে লাগানো হবে মাঝারি উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে, এমন কপ্টার। এই কপ্টারগুলো তৈরি করবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল। আগামী ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই ধীরে ধীরে বদলে ফেলা হবে এমআই-১৭ কপ্টারগুলো। ২০২৮ থেকে এই কপ্টার বদলানোর পর্যায় শুরু হবে বলেই হ্যালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Aero India 2023-এর ফাঁকে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, হ্যালের চিফ ম্যানেজার (ডিজাইন) এরোডাইনামিকস আবদুল রশিদ তাজার জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ১৩-টন ভারতীয় মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার (IMRH)-এর প্রাথমিক নকশা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে আর কপ্টারের বিস্তারিত নকশা শীঘ্রই তৈরি করা হবে। এই কপ্টারকে জাহাজের ডেক থেকেও ওড়ানো যাবে। ব্যবহার করা যাবে। এই প্রসঙ্গে তাজার বলেন, 'আমরা অর্থের জন্য অপেক্ষা করছি। মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি অনুমোদন দেবে। অনুমোদনের চার বছরের মধ্যে, আমরা প্রোটোটাইপের প্রথম ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হব। আর, আগামী চার বছরের মধ্যে টেস্টিং সার্টিফিকেশন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।'
তাজার বলেন, 'আট বছর পর যখন এমআই-১৭ কপ্টারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, তখন বায়ুসেনার কাজের জন্য আমরা হ্যালের কপ্টারগুলো ব্যবহার করব।' ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে বর্তমানে ২৫০টি এমআই-১৭ কপ্টার আছে। প্রতিটি কপ্টার ৩০জনেরও বেশি সেনা আর অন্যান্য বোঝা বহন করতে পারে। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রথমে রাশিয়ার এমআই-১৭ কপ্টারগুলো বাতিল করা হবে। তারপর বাতিল করা হবে এমআই-১৭ভি৫এস কপ্টারগুলো।
আরও পড়ুন- নিশীথের বাড়ি ঘেরাওয়ের প্রতিবাদে হুংকার BJP রাজ্য-জেলা সভাপতির, পাল্টা হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
আইএমআরএইচ বা বহুমুখী কাজে লাগানোর এই কপ্টারগুলো বিমান হামলা, বিমান পরিবহন, যুদ্ধের রসদ পৌঁছে দেওয়া, যুদ্ধের অনুসন্ধান, উদ্ধারকাজ এবং হতাহতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে লাগানো হবে। এটি সমুদ্রে থাকা জাহাজ থেকে ৪,৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের মালপত্র নিয়ে আসতে এবং দিয়ে আসতে পারবে। হেলিকপ্টারটির ইঞ্জিন যৌথভাবে তৈরি করবে ফ্রেঞ্চ সাফরান হেলিকপ্টার ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এইচএএল। Aero India চলাকালীন, উভয় সংস্থা হেলিকপ্টার ইঞ্জিনের নকশা, উন্নয়ন, উত্পাদন এবং আজীবন সহায়তার জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ গঠনের ওয়ার্কশেয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
Read full story in English