হলদওয়ানি হিংসার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। ধীরে ধীরে খুলছে দোকানপাট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলের মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। হিংসার ঘটনায় নিহত হন পাঁচজন। যার মধ্যে রয়েছেন বিহারের এক যুবক। চাকরির সন্ধানে এসেছিলেন তিনি। আর বাড়ি ফেরা হল না। হিংসার ঘটনা কেড়ে নিল তরতাজা প্রাণকে।
হিংসার কেন্দ্রস্থল থেকে ২ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে প্রকাশ কুমার সিং-এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মাথায় গুলির চিহ্ন ছিল। নৈনিতালের এসএসপি প্রহ্লাদ নারায়ণ মীনা বলেন, "ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। হতে পারে এটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কে কীভাবে কেন তাকে খুন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসএসপি প্রহ্লাদ নারায়ণ মীনা, যোগ করেছেন যে যে অস্ত্র ব্যবহার করে তাকে খুন করা হয়েছে তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে"।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, প্রকাশের জামাইবাবু অঙ্কিত কুমার সিং বলেছেন যে তারা হিংসার দু দিন পর শনিবারই প্রকাশের মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছিলেন। নয়ডার বাসিন্দা অঙ্কিত খবর পেয়ে হলদওয়ানি চলে আসেন। তিনি বলেন, “কাজের সন্ধানে হালদওয়ানি গিয়েছিলেন প্রকাশ। ওখানে আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য নেই। তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি বিহার ছেড়ে পরের দিন পৌঁছেন। এই প্রথম তিনি সেখানে যান। ট্রেন থেকে নামার পরই হিংসার মধ্যে পড়েন প্রকাশ"।
প্রকাশ সবেমাত্র তার ব্যাচেলর অফ আর্টস শেষ করেছেন এবং চাকরির চেষ্টা করছিলেন। বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা ও এক ছোট ভাই রেখে গেছেন। অঙ্কিত আরও বলেন, 'প্রশাসন একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল যাতে দেহটি বিহারে নিয়ে যেতে পারি। আমরা রবিবার বিকেল ৩টার দিকে রওনা দিই। সোমবার বিহারে পৌঁছাব,” । ফাহিম কুরেশির পরিবার ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা তাকে গুলি করে খুন করে। সে তার গাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। এসএসপি মীনা বলেন, 'তারা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবেন'।