Ismail Haniyeh Hamas Chief Killed: ইরানে খুন হামাস শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া। ইজরাইলকে এবার সরাসরি হুমকি দিল হামাস। আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে চলেছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ? উঠকন্ঠা বিশ্বজুড়ে।
তেহরানে তার বাসভবনে হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও তার নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে এই খবর নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। আইআরজিসি বলেছে যে তেহরানে হানিয়ার বাড়ি লক্ষ্য করে স্ট্রাইক চালায় ইজরায়েল। ভারতীয় সময় ভোর চারটে নাগাদ এই হামলা হয়। হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
হামাসও হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ইজরায়েল এই নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। হানিয়েহের নেতৃত্বে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। এতে ১২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হানিয়া হত্যার দায় ইজরায়েল নেয় নি। তবে ইরানের সরকারি চ্যানেলগুলি এই হামলায় ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিলেন হানিয়া। ইরানে হামাস নেতার পুরো পরিবার ধ্বংস করেছে ইজরায়েল। এবার খুন হলেন শীর্ষ এই হামাস নেতা। এই হত্যার পর ইজরাইল-হামাস যুদ্ধ নয়া মোড় নিতে চলেছে। ইরান ঘোষণা করেছে যে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করা হয়েছে। ৬২ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়া ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। এর জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। এর আগে এপ্রিলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন সন্তান ও চার নাতিও নিহত হয়। শুধু তাই নয়, গত মাসে হানিয়ার বোনকেও খুন করা হয়। ইসমাইল হানিয়া দীর্ঘদিন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। গত নভেম্বরে গাজায় ইসমাইল হানিয়ার বাড়িও ইজরায়েল উড়িয়ে দেয়। ইজরায়েলের দাবি, হানিয়ার বাড়ি সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। এদিকে হানিয়া হত্যার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইজরায়েলের হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর গোটা উপসাগরীয় এলাকায় উত্তেজনা আরও গভীর হয়েছে। ইরানের মাটিতে হামাস নেতাকে টার্গেট করায় এই উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে। ইরান দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে সমর্থন করে আসছে। ইরান এবং তার অন্যান্য মিত্র, হুথি এবং হিজবুল্লাহ, গাজা যুদ্ধে হামাসকে সাহায্য করে আসছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর তারা প্রতিশোধ নিতে পারে। সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে ইরান। এর জবাবে ইজরায়েলও ড্রোন হামলা চালায়।