গত শনিবার ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পরে, সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০০। ইজরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে, যখন গাজা সীমান্তে ১৯০০ প্যালেস্তাইন নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় জঙ্গিদের মোকাবিলার লক্ষ্যে অস্থায়ী অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামাসের মিডিয়া অফিস বলেছে যে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলি দক্ষিণ গাজামুখী যানবাহনকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, এতে ৭০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
এদিকে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাধারণ নাগরিকদের স্থানান্তরের সুবিধার্থে গাজায় সেফ করিডর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। গাজা থেকে হামাসের হামলা চালানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং অন্যত্র ইহুদি সম্প্রদায়গুলিও ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। দেশের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হত্যাকাণ্ড বলে হামাস হামলাকে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইজরায়েলের ওপর হামাস জঙ্গিদের হামলার পর গাজা উপত্যকায় বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজায় বসবাসরত সাধারণ নাগরিক ও হাসপাতালগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এর জবাবে ডব্লিউএইচও-এর প্রধান বলেন, ‘এটা করা সম্ভব হবে না কারণ হাসপাতালে এমন অনেক আহত রয়েছে, তাদের কোনোভাবেই সরিয়ে নেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। এমন সতর্কবার্তা প্রাণ কাড়তে পারে হাজার হাজার আহত মানুষের”।
এই সঙ্কটের সময়, রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন যে তিনি ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তাদের মানবিক সংকট এড়াতে অনুরোধ করছেন। ইজরায়েল গাজা সীমান্তের কাছে ট্যাংক মোতায়েন করেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে প্রথমবারের মতো তাদের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে এবং অভিযান চালিয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে এবং হামাসের হাতে আটক নিখোঁজ ইজরায়েলি নাগরিকদের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহে সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বর্তমান যুদ্ধের জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ইজরায়েলে হামাসের হামলার পিছনে ইরানের মাথা কাজ করেছিল। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন এবং ইজরায়েল জানিয়েছে হামাসের হামলার কারণে সেদেশে যা ঘটেছে তা আইএসআইএসের চেয়েও খারাপ।