অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। রিপাবলিক টিভির এডিটরের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। যাঁর আত্মহত্য়ায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এদিন সাতসকালে বাড়ি থেকে অর্ণবকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ, সেই অন্বয় নায়েকের পরিবার এই গ্রেফতারিতে স্বস্তি বোধ করেছেন। ২০১৮ সালে ৫৩ বছর বয়সী ইন্টিরিয়র ডিজাইনারের আত্মহত্য়ায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্ণব ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এদিন অর্ণবকে আটক করেছে রায়গড় পুলিশ। তবে এখনও তাঁর গ্রেফতারির কথা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
অর্ণবের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নায়েক-কন্য়া আদন্যা বলেছেন, ‘‘আমরা খুশি যে, অর্ণব গোস্বামী গ্রেফতার হয়েছেন। অতীতে এ মামলা ক্লোজ করার জন্য় পুলিশের থেকে অনেক চাপ ছিল। অর্ণবকে ই-মেল করে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উনি বাবার সঙ্গে দেখা করেননি’’।
তাঁর আরও কথায়, ‘‘আমরা এ ইস্য়ুটি নিয়ে রাজনীতি হোক চাই না। এ ইস্য়ুতে আমি পরিবারের দুই সদস্য়কে হারিয়েছি। আমরা চাই সকলে বুঝুন যে অর্ণব গোস্বামীর মতো একজন প্রভাবশালী ব্য়ক্তি কীভাবে এসব এড়িয়ে চলেছিলেন। অনেক আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল’’।
আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থার শামিল! অর্ণবের গ্রেফতারিতে তীব্র প্রতিবাদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্য়ুর প্রসঙ্গ টেনে নায়েকের স্ত্রী বলেছেন, ‘‘অর্ণব গোস্বামী বারংবার বলছিলেন যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্য়া মামলায় গ্রেফতারি হোক। যেখানে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। আমার স্বামী সুইসাইড নোটে অর্ণব ও আরও ২ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। অথচ, কাউকে আগে গ্রেফতার করা হয়নি’’।
উল্লেখ্য়, চলতি বছর মে মাসে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছিলেন, সিআইডি নতুন করে ২০১৮ সালের সেই মামলার তদন্ত শুরু করবে। গত বছর রায়গড় পুলিশ মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা কুমুদ নায়েককে আলিবাগের একটি বাংলোতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্বয়ের মেয়ে আদন্যা দাবি করেন, রিপাবলিক টিভির থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর বাবা ও ঠাকুমা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন