Advertisment

Hapur lynching: গো-হত্য়ার কোনও যোগ নেই, বলছে পুলিশ

গো হত্য়ার চেষ্টার অপরাধে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সামিউদ্দিন ও কাসিম। এঁদের মধ্য়ে গো-রক্ষকদের রোষে প্রাণ হারিয়েছেন কাসিম। গুরুতর জখম হয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি নিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সামিউদ্দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
lynching, গণপিটুনি

গো হত্য়ার চেষ্টার করেছেন বলে গণপ্রহারের জেরে মৃত্যু হয়েছে কাসিম নামে এক ব্যক্তির। প্রতীকী ছবি।

গত বছর গো-রক্ষার নামে হত্য়ার ঘটনা নিয়ে গোরক্ষকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তারপরেও দেশে গোরক্ষককারীদের হিংসালীলা যে থামেনি, তা আবারও প্রমাণিত হল উত্তরপ্রদেশের হাপুরের ঘটনায়। যদিও পুলিশের দাবি, এই হত্য়াকাণ্ড গোরক্ষার কারণে নয়।

Advertisment

গো হত্য়ার চেষ্টার করেছেন বলে গণপ্রহারের জেরে মৃত্যু হয়েছে কাসিম নামে এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম হয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি নিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সামিউদ্দিন।

সত্য় কথা না বললে, ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, এমন হুঙ্কারই কানে বাজছিল সামিউদ্দিনের। “আমরা জবাই করিনি’’, একথাই বারবার বলছিলেন সামিউদ্দিন। কিন্তু গো-ভক্তরা সামিউদ্দিনের কোনও কথারই কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টে মুখে, পেটে বেদম মার জুটেছে সামিরুদ্দিনের।  গত ১৮ জুন হাপুরের এ ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্য়েই ছড়িয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে সেটা স্বীকার করলেও, গবাদি পশুর হত্য়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আর সেজন্য়ই গণপিটুনি হয়েছে, এ তত্ত্ব মানতে অবশ্য় মানতে নারাজ হাপুর পুলিশ। ক্রোধের বশেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই মনে করছে পুলিশ।

হাপুরের ঘটনা নিয়ে নতুন করে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্য়ে এসেছে। যদিও ওই ভিডিওটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাপুরের এসপি সংকল্প শর্মা। ইতিমধ্য়েই এ ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। সামিউদ্দিনের ভাই ইয়াসিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, Assam Lynching: গণপিটুনিতে জোড়া মৃত্যু! এখনও থমথমে এলাকা

এদিকে এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, মোটরসাইকেল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে কাসিম ও সামিউদ্দিনকে। এফআইআর-এ ধস্তাধস্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গত ১৯ জুনই জানিয়ে দিয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে কোনও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেনি পুলিশ। শুধু তাই নয়, আক্রান্তদের পরিজন ও ধৃত দুই ব্য়ক্তিও জানিয়েছেন যে, গবাদি পশু জবাই নিয়ে গণ্ডগোলের সুত্রপাত। এও  জানা গিয়েছিল যে, গণপিটুনির ঘটনার পরে সুধীর রানা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দাকে একদিনের জন্য় দুটি গরু ও একটি বাছুরকে রাখতে বলেছিল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ঘটনায় ইতিমধ্য়েই যুধিষ্ঠির সিং ও রাকেশ শিশোদিয়া নামের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে।

national news
Advertisment