হাপুরে গোরক্ষার নামে গণপিটুনিতে মৃত্যুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশে চাপ বাড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকারের। এ ঘটনায় দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারি করা হল। এ ঘটনার এক সাক্ষী নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে নোটিস জারির নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। পাশাপাশি, মিরাটের আইজিকে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৮ অগাস্ট।
হাপুরের পিলাখুয়ায় একটি আখের খেতে ৪৫ বছরের কাসিমকে পিটিয়ে মারা হয়। মারের চোটে জখম হন ৬৫ বছরের সামিরুদ্দিন। পুলিশ এ ঘটনার জেরে যুধিষ্ঠির সিং ও রাকেশ শিশোদিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে। পিলাখুয়া থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়, তাতে বলা হয়েছে বাইকে চড়ে আসা কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে কাসিম ও সামিরুদ্দিনের বচসার জেরেই এই ঘটনা ঘটে। তবে সামিরুদ্দিনের পরিবার এবং ধৃত দুই ব্যক্তির বক্তব্য, গণ্ডগোল হয়েছিল গরু নিয়েই।
আরও পড়ুন, Hapur lynching: গো-হত্য়ার কোনও যোগ নেই, বলছে পুলিশ
অন্যদিকে হাপুরে এ ঘটনার কয়েকদিন বাদে একটা ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সামিরউদ্দিনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে তিন পুলিশকর্মীকেও দেখা গিয়েছে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মহলে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এক বিবৃতিতে বলেন,‘‘জখম ব্যক্তির সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন পুলিশকর্মীরা, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ওই তিন পুলিশকর্মীকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’