Advertisment

Maharashtra: শূর্পণখার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ নিপীড়িত স্বামীদের

"দেশের সমস্ত আইন মহিলাদের পক্ষে এবং পুরুষদের বিপক্ষে। মহিলারা সেইসব আইনের অপব্যবহার করেন নিজেদের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের লাঞ্ছনা দিতে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পোড়ানো হচ্ছে শূর্পণখার পুত্তলিকা

দশেরার দিন রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়, সে তো সবাই জানে। ভারতের বহু জায়গায় হয় এই উৎসব। কিন্তু এবছর মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় কিছু "নিপীড়িত" স্বামী ঠিক করলেন, তাঁরা একটু অন্যভাবে দশেরা পালন করবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। এবছর রাবণের মূর্তি না পুড়িয়ে তাঁরা রাবণের বোন শূর্পণখার কুশপুত্তলিকা দাহ করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঔরঙ্গাবাদের কাছে করোলি গ্রামে। এই স্বামীরা প্রত্যেকেই 'পত্নী পীড়িত পুরুষ সংগঠন' নামক এক সংস্থার সদস্য, যা তৈরি হয়েছে সেইসব পুরুষদের জন্য, যাঁরা তাঁদের পত্নীদের হাতে 'নির্যাতিত'।

Advertisment

আরও পড়ুন: মহিলাদের প্রবেশাধিকার দিলে মন্দির বন্ধ করে দেব: শবরীমালার প্রধান পুরোহিত

সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ভরত ফুলারে সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানান, "দেশের সমস্ত আইন মহিলাদের পক্ষে এবং পুরুষদের বিপক্ষে। মহিলারা সেইসব আইনের অপব্যবহার করেন নিজেদের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের লাঞ্ছনা দিতে। আমরা দেশের পুরুষদের এই শোষণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এর প্রতীক হিসেবে আমরা গতকাল সন্ধ্যেয় দশেরা উদযাপন করতে শূর্পণখার মূর্তি পোড়াই।"

হিন্দু উপকথা অনুযায়ী, রাম রাবণের যুদ্ধের মূল উপলক্ষ্যই হলো শূর্পণখা, রামের হাতে যার অপমানের প্রতিশোধ নিতে সন্ন্যাসীর বেশধারী রাবণ সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কায় নিয়ে যান। যার ফলে বাঁধে লঙ্কাকাণ্ড।

ফুলারে আরও জানান, ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে যতজন বিবাহিত মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন, তাঁদের ৭৪ শতাংশই পুরুষ। সংস্থার কয়েকজন সদস্য বর্তমান হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) আন্দোলন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

Maharashtra
Advertisment