হাতে সময় দু'মাসেরও কম। এবারের মহাকুম্ভ হরিদ্বারে। কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। কুম্ভ মানেই বিপুল জনসমাগম। এর উপর মহাস্নান। তবে করোনার যা পরিস্থিতি সেখানেই এই উৎসব মানেই ফের বৃদ্ধি পাবে মহামারী। এই মহাকুম্ভ আয়োজনই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ২০১০ সালে হরিদ্বারে সর্বশেষ মহা কুম্ভে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) অনুমান অনুসারে ১.৬২ কোটি তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে এই মেগা-ইভেন্ট বাতিলের সম্ভাবনা আধিকারিকরা অস্বীকার করেছেন। ১৪ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে এপ্রিলের শেষ অবধি চলবে বলে জানান গিয়েছে। কুম্ভ মেলা অধিকারি দীপক রাওয়াত বলেন, "হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা প্রতি ১২ বছরে একবার হয়। ২০২১ সালে এটি ১১ বছর পরে ঘটবে, ৮০ বছর পরে ঘটছে এমন এক ঘটনা। অবশ্যই কোভিড ১৯ মহামারীর মধ্যে কুম্ভ মেলার পরিচালনা করা জটিল। আমরা সরকারের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে পরিকল্পনা করছি।"
আরও পড়ুন, সংক্রমণ বাড়ছে, পাঁচ শহরে জারি নাইট কার্ফুhttps://bengali.indianexpress.com/general-news/night-curfew-madhya-pradesh-five-cities-268717/
দিলীপ রাওয়াতের মতে, সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী অনুসারে ভিড় পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নজরদারি করার মাধ্যমে তা কার্যকর করা হবে। কোভিড -১৯ এর জন্য এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, অন্যান্য অসুস্থতা ও জরুরি অবস্থার জন্য একটি পৃথক, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি এও জানান যে উত্তরাখণ্ড সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্কের ব্যবস্থাও রাখবে।
অন্যদিকে, গঙ্গায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কুম্ভ মেলা একটি চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার (এনএমসিজি) দায়বদ্ধ এই কাজে। গত মাসে জগজিৎপুরে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বৃহত এসটিপি উদ্বোধন করেছিলেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন