'পঞ্জ প্যায়ারে', শিখ ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক একটি বিষয়। আর তাই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পাঞ্জাব কংগ্রেস নেতৃত্বকে 'পঞ্জ প্যায়ারে'-র সঙ্গে তুলনা করেন। আর তাতেই বাধে গোল। তড়িঘড়ি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্তের জন্য গুরুদ্বারের মেঝে সাফ করার কথাও বলেছেন হরিশ রাওয়াত।
গতকাল চণ্ডীগড়ে আসেন রাওয়াত। সিধুকে প্রদেশ সভাপতি করেও দলীয় কোন্দল অব্যাহত। তাই প্রদেশ পর্যবেক্ষক বিক্ষোভ সামাল দিতে ছুটে আসেন পাঞ্জাবে। পাঞ্জাব কংগ্রেস ভবনে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, প্রদেশ সভাপতি সিধু এবং বাকি চার কার্যকরী সভাপতি হলেন 'পঞ্জ প্যায়ারে'র সমান। এই মন্তব্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
শিখধর্মে পঞ্জ প্যায়ারের মাহাত্ম্য অসীম। গুরুর পাঁচ পরম শিষ্যকে 'পঞ্জ প্যায়ারে' বলা হয়। ১৬৯৯ সালে দশম গুরু গোবিন্দ সিং নিজের পাঁচ অনুগামীকে খালসা অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর থেকে সেই পাঁচজন দীক্ষিত শিখ বাকি শিখদের খালসা দলে অন্তর্ভুক্ত করার সময় দীক্ষা দিতেন। শিখরা এই মন্তব্যে ভীষণই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ড্যামেজ কন্ট্রোলে পরে নিজের ফেসবুক পেজে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন রাওয়াত।
আরও পড়ুন ‘হিন্দুরা সংখ্যাগুরু থাকলেই ভারতে মহিলা-সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে’, মন্তব্য বিজেপি নেতার
তিনি লিখেছেন, "কখনও কখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে কোনও কথা বলতে গিয়ে কিছু শব্দ ব্যবহার হয় যা আপত্তিজনক। আমিও সেরকম ভুল করেছি 'পঞ্জ প্যায়ারে' শব্দ ব্যবহার করে। আমার সম্মানীয় প্রদেশ ও চার কার্যকরী সভাপতির সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই শব্দ ব্যবহার করে ফেলেছি। এই শব্দ অন্য কারও সঙ্গে তুলনায় আনা যায় না। ইতিহাসের ছাত্র হয়ে এই ভুল মারাত্মক। আমার ভুল হয়েছে। মানুষের আবেগকে আঘাত করার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।"
তিনি কথা দিয়েছেন, নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে ঝাড়ু দিয়ে গুরুদ্বার সাফ করে দেবেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি বরাবরই শিখধর্ম এবং তাঁদের ঐতিহ্যের সম্মান করেন। এদিকে, শিরোমণি অকালি দলের নেতা দলজিৎ সিং চিমা রাওয়াতেক কটাক্ষ করেছেন এবং সরকারের কাছে দাবি করেছেন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন