Karnal Lathicharge: কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত কৃষকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন হরিয়ানার এক মহকুমা শাসক। এবার সেই আইএএস-র পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তিনি বলেছেন, ‘হয়তো ওই অফিসারের শব্দচয়ন ঠিক ছিল না। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাও পুলিশের কর্তব্য।‘
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরিয়ানায় পুলিশ এবং কৃষক সংঘর্ষের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, আয়ুশ সিনহা নামে মহকুমা শাসক পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘ব্যারিকেড ভেঙে কেউ যেন এদিকে আসতে না পারে। প্রত্যেকের পিছনে মারতে হবে। আমাদের কাছে যথেষ্ট বাহিনী আছে। আমরা দু’দিন ঘুমাইনি। কিন্তু ওরা ঘুমিয়ে এসেছে। আমার দিকে যাতে কেউ আসতে না পারে। যদি আসে তাহলে মাথা ফাটিয়ে আসতে হবে।‘
পুলিশকে দেওয়া তাঁর এই নির্দেশ ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই প্রসঙ্গে চণ্ডীগড়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেছেন, ‘জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই সেই আইএএস-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। ডিজিও বিষয়টা দেখছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক জায়গায় কড়াকড়ি করতে হয়।‘ এদিকে, হরিয়ানার কারনালে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে কৃষকদের বিক্ষোভ আর তাঁদের উপর লাঠিচার্জের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন মহকুমা শাসক। শনিবারের ঘটনায় বহু কৃষক গুরুতর আহত হন। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে শোনা গিয়েছে, মহকুমা শাসক আয়ুশ সিনহা পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, “যেই বিক্ষোভ দেখাতে আসুক, মেরে মাথা ফাটিয়ে দাও!” এই মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার একদিন পর এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা।
রবিবার চৌটালা জানিয়েছেন, “এমন মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন আইএএস অফিসার কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।” এমনটাই সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। শনিবার কারনালে কৃষকদের বিক্ষোভের সময় ২০১৮ সালের ব্যাচের এই আইএএস আয়ুশ সিনহার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তিনি পুলিশ কর্মীদের নির্দেশ দেন, বিক্ষোভকারীদের মারার জন্য আর কেউ জন্য নিরাপত্তা বলয় ভেঙে না ঢোকে। ঢুকলেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এই আমলা।
যদিও, ভিডিও ভাইরাল হতেই ওই আমলা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের কিছুটা অংশ পোস্ট করে তাঁকে বদনাম করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, লাঠিচার্জ হয়েছিল বাস্তারা টোল প্লাজায়। সেখানে দায়িত্বে ছিলেন অন্য এক আধিকারিক। তিনি যেখানে মোতায়েন ছিলেন সেটা লাঠিচার্জের ঘটনাস্থল থেকে ১০-১৫ কিমি দূরে। সেখানে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। পুলিশকর্মীরা কাউকেই মারেনি। কোনও বিক্ষোভকারীই সেখানে আসেননি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন