নুহ হিংসা মামলায় পুলিশের বড় পদক্ষেপ। প্রথমে মনু মানেসার, এখন কংগ্রেস বিধায়ক মামন খানকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ।হরিয়ানার নুহ জেলায় ৩১শে জুলাই সংঘটিত হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস বিধায়ক মামন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামন খানকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিরোজপুরে ডিএসপি সতীশ কুমার।
গ্রেফতারি এড়াতে, মামন খান মঙ্গলবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। পিটিশনে মমন খানের আইনজীবী আদালতকে রাজ্য সরকারকে একটি উচ্চ-স্তরের এসআইটি গঠনের নির্দেশ দিতে বলেছিলেন। কংগ্রেস বিধায়ক মামন খান দাবি করেছিলেন যে পুলিশ ডিজি র্যাঙ্কের অফিসারদের এসআইটিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং নুহ হিংসার ঘটনা সংক্রান্ত মামলা সিটের হাতে হস্তান্তর করা উচিত।
মমন খানের আইনজীবী আদালতকে জানান, ঘটনার দিন ও তার আগে তিনি ওই এলাকায় ছিলেন না। কিন্তু SIT আদালতে মামন খানের উপস্থিতির প্রমাণ পেশ করে। এর পর মামন খানের গ্রেফতারির ওপর কোন স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মমন খানকে গ্রেফতার করে সিট।
গ্রেফতারের পর এখন বিধায়ককে আদালতে পেশ করবে পুলিশ। নূহ হিংসার মমন খানের মদত দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। সিটের অভিযোগ নূহ হিংসার সময় সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মামন খান। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও অভিযোগ করেছিলেন যে মমন খান যেখানেই যান সেখানেই হিংসা হয়।
হরিয়ানা পুলিশ নুহ হিংসার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফিরোজপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মামন খানকে গ্রেফতার করেছে। ডিএসপি সতীশ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার মমন খানকে আদালতে হাজির করা হবে।
হরিয়ানা সরকার বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টে জানায় মামনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে খানের আবেদনের শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের আইনজীবী তা আদালতে পেশ করেন। এর আগে মমন খানকে ৩১শে আগস্ট প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়ান।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল বলেছিলেন যে মামন খান যেখানেই যান, যদি তিনি অভিযুক্ত হন, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এই বিবৃতির একদিন আগে, মুখ্যমন্ত্রী নুহ হিংসার নিহত ভিএইচপি কর্মী অভিষেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানান যে নূহ হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের রেহাই দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতারা মামন খানকে নূহ হিংসার 'মাস্টারমাইন্ড' বলে এর আগেই উল্লেখ করেন।