Advertisment

Farmers Protest: কৃষক বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাসের শেল, আহত অনেকেই, ফের আলোচনার প্রস্তাব কেন্দ্রের

আজ থেকে ফের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার প্রতিবাদ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Farmer protest,Delhi Farmer Protest,tear gas drones,tear gas on shambhu border"

আজ থেকে ফের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার প্রতিবাদ।

পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে ফের কৃষকদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাসের শেল। আজ থেকে ফের দ্বিতীয় দফায় দিল্লির দিকে মিছিলের ডাক দিয়েছে প্রতিবাদী কৃষকরা। কৃষক বিক্ষোভের জেরে ফের উত্তাল পাঞ্জাব-হরিয়ানার সীমান্ত। এদিকে, বুধবার কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা আবারও কৃষক নেতাদের এমএসপি নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

Advertisment

বুধবার বিকেলে শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে হরিয়ানা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করায় বেশ কয়েকজন কৃষক আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে, কৃষক নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের মধ্যে একদফা টেলিফোনিক আলোচনা শেষ হয়েছে। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল এবং সর্বান সিং পান্ধের প্রধানমন্ত্রী মোদী অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এমএসপি আইনের উপর বিবৃতির দাবি জানিয়েছেন।

আজ থেকে ফের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার প্রতিবাদ। গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে চতুর্থ আলোচনার পর প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখতে সময় চাওয়া হয় সংগঠনের তরফে। শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরই তারা দ্বিতীয় দফায় বুধবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান পুনরায় শুরু করার ডাক দেয়।

হরিয়ানা-পাঞ্জাবের শম্ভু সীমান্তে উপস্থিত কৃষকদের এগিয়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ড্রোনের মাধ্যমে কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ার পর ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

প্রায় ১৪ হাজার কৃষক ১২ হাজার ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগের প্রতিবাদ মিছিল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং কৃষকদের প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ মিছিলের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশও রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে। শহরের টিকরি, সিংগু ও গাজিপুর সীমান্তে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল বলেছেন, ‘সরকারের উচিত কৃষকদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমরা অনুরোধ করছি যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লি যেতে চাই। তাই সরকারের উচিত ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া। সরকার যদি তা করতে না চায় তাহলে আমাদের দাবি মেনে নিক, আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব’।

অপর দিকে কৃষক নেতা পান্ধের বলেছেন, ‘ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সরকারের কাছে কোন বড় ব্যাপার নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লিতে যেতে চাই। আমরাও হিংসা চাই না এখন বল সরকারের কোর্টে’।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলন করেন কৃষক নেতারা। বৈঠক শেষে কৃষক নেতা পান্ধের মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আলোচনার জন্য সবকিছু করেছি। যখনই আমরা ডাক পেয়েছি, আমরা আলোচনায় বসেছি। যদি কেন্দ্রীয় সরকার এসে বলে যে তারা এমএসপির আইনি গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত, তাহলে আমরা আন্দোলন তুলে নিতে রাজি।

আরও পড়ুন : < Dev At Ed Office: মলয়-শাহজাহান হতে চান না দেব, শেষপর্যন্ত কী করলেন অভিনেতা-সাংসদ? >

এদিকে কৃষক প্রতিবাদের মধ্যে সরকার সাময়িকভাবে ১৭৭ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ওয়েব লিঙ্ক ব্লক করেছে৷ পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষকদের বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত ১৭৭ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েব লিঙ্কগুলি সরকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

Farmers Protest
Advertisment